প্রকাশিত:
৫ জুন ২০২৪, ১৪:৫০
রাষ্ট্র হিসেবে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে ইউরোপের দেশ স্লোভেনিয়ার পার্লামেন্টে একটি বিল (ডিক্রি) পাস হয়েছে। স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার (৪ জুন) এ বিল পাস হয়।
গত সপ্তাহে ইউরোপের তিন দেশ স্পেন, নরওয়ে ও আয়ারল্যান্ড রাষ্ট্র হিসেবে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার পর একই উদ্যোগ নেয় স্লোভেনিয়া সরকার। এরই ধারাবাহিকতায় এবার দেশটির পার্লামেন্টে বিল পাস হয়েছে।
সরকার–সমর্থিত বিলের পক্ষে স্লোভেনিয়ার পার্লামেন্টের ৯০ সদস্যের মধ্যে ৫১ জন ভোট দেন। এর আগে ঘণ্টা ছয়েক বিলটি নিয়ে পার্লামেন্টে বিতর্ক হয়।
এ সময় দেশটির বিরোধী দলের সংসদ সদস্যরা ভোটাভুটি বর্জন করেন। তাঁদের মধ্যে একজন ভোটাভুটির সময় উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু ভোট দেননি।
ফিলিস্তিনের স্বীকৃতির বিষয়ে গণভোট আয়োজনের দাবি তুলেছিলেন বিরোধীরা। তবে বিলের পক্ষে ভোট দেওয়া ৫২ সংসদ সদস্য সেই প্রস্তাব খারিজ করে দিয়েছেন।
ভোটাভুটির পর স্লোভেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী রবার্ট গোলব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) একটি পোস্ট দেন। এতে তিনি লিখেন, আজ ফিলিস্তিনকে স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার এই উদ্যোগ পশ্চিম তীর আর গাজায় বসবাসকারী ফিলিস্তিনিদের কাছে আশার বার্তা পৌছে দেবে।
এর আগে গত ২৮ মে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেয় স্পেন, আয়ারল্যান্ড ও নরওয়ে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ২৭ সদস্যদেশের মধ্যে সুইডেন, সাইপ্রাস, হাঙ্গেরি, চেক প্রজাতন্ত্র, পোল্যান্ড, স্লোভাকিয়া ও বুলগেরিয়া আগেই স্বীকৃতি দিয়েছে। একই পথ অনুসরণ করার ঘোষণা দিয়েছে মাল্টাও।
গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় হামাস। এতে দেশটিতে অন্তত ১ হাজার ১৩৯ জন নিহত হন। ইসরায়েল থেকে প্রায় আড়াই শ ব্যক্তিকে বন্দী করে ফিলিস্তিনের গাজায় নিয়ে যান হামাস যোদ্ধারা।
সেদিন থেকেই গাজা উপত্যকায় নির্বিচার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে এখন পর্যন্ত ৩৬ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন প্রায় ৮২ হাজার মানুষ।
মন্তব্য করুন: