সোমবার, ৩০শে ডিসেম্বর ২০২৪, ১৫ই পৌষ ১৪৩১ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল dailyvobnews@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • খুলেছে সচিবালয়, ক্ষতিগ্রস্ত মন্ত্রণালয়ের কাজ অন্য জায়গায়
  • সচিবালয়ে সাংবাদিক প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা সাময়িক
  • সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন
  • আন্দোলনে নামলেন ২৫ ক্যাডারের কর্মকর্তারা
  • বায়ুদূষণে আজ তৃতীয় ঢাকা, বেশি দূষণ যেসব এলাকায়
  • পান্থকুঞ্জ ও আনোয়ারা পার্ক নিয়ে নতুন করে ভাবা হচ্ছে
  • দেশকে কোনও দলের কাছে ইজারা দেয়া হয়নি
  • সাগরে নিম্নচাপ, দক্ষিণাঞ্চলে বৃষ্টি শুরু
  • ড. ইউনূস আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাষণ দেবেন আজ
  • ২৬ শতাংশ রেমিট্যান্স বেড়েছে হাসিনার পতনের পর

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নতুন স্থাপনার অনুমতি বুদ্ধিমানের কাজ হবে না: প্রধানমন্ত্রী

ডেস্ক রির্পোট

প্রকাশিত:
৫ জুন ২০২৪, ১২:০৬

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নতুন স্থাপনা নির্মাণের অনুমতি দেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ হবে না কারণ জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের জনগণকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য ব্যাপকভাবে বন উজাড়ের কারণে সেখানে ইতিমধ্যেই পরিবেশ ও বাস্তুগত ভারসাম্যহীনতা দেখা দিয়েছে।

গতকাল (৪ জুন) মঙ্গলবার রাতে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে জাপানের নিপ্পন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ইয়োহেই সাসাকাওয়া সৌজন্য সাক্ষাতে এলে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেছেন বলে সাক্ষাত শেষে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম।

তিনি বলেন, কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নতুন স্থাপনা নির্মাণের অনুমতি দেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ হবে না কারণ ব্যাপক বন উজাড়ের কারণে ইতোমধ্যেই সেখানে পরিবেশ ও বাস্তুগত ভারসাম্যহীনতা দেখা দিয়েছে। কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলো খুবই ঘিঞ্জি এবং রোহিঙ্গারা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে জীবনযাপন করছে।

তিনি আরও বলেন, তাদের ভাষানচরে নিয়ে যাওয়া হলে, তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত হবে এবং তারা আরও ভাল থাকবেন। তিনি ছয় বছর ধরে বাংলাদেশে আটকা পড়া জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের তাদের মাতৃভূমি মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের জন্য ইয়োহেই সাসাকাওয়ার সমর্থন কামনা করেন।

এছাড়া প্রধানমন্ত্রী অর্ন্তর্বতীকালীন সময়ের জন্য কক্সবাজার থেকে আরও রোহিঙ্গাদের ভাষানচরে স্থানান্তর করতে নিপ্পন ফাউন্ডেশনের কাছে আরও সহায়তা চেয়েছেন।

ইয়োহেই সাসাকাওয়া ভাষানচরে রোহিঙ্গাদের আবাসন সুবিধায় সন্তোষ প্রকাশ ও প্রশংসা করেন এবং বলেন যে নিপ্পন ফাউন্ডেশন রোহিঙ্গাদের আয় বৃদ্ধির জন্য প্রশিক্ষণের পাশাপাশি নতুন রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষার ব্যবস্থা করতে আগ্রহী।

এ লক্ষ্যে তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রস্তাব দিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ মানবিক কারণে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে কারণ সে সময় ৪০ হাজারের বেশি নারী গর্ভবতী ছিল এবং সে কারণেই সরকার মাঠ পর্যায়ে হাসপাতাল স্থাপন করে খাদ্য, চিকিৎসা সুবিধা দিয়ে আসছে। বেসরকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো পরবর্তীতে রোহিঙ্গাদের সহায়তা করতে সরকারের সাথে যোগ দেয়।

তিনি বলেন, রোহিঙ্গা নারীরা পরিবার পরিকল্পনা গ্রহণে আগ্রহী না হওয়ায় তাদের রক্ষণশীল মানসিকতার কারণে রোহিঙ্গাদের সংখ্যা দিন দিন দ্রুত বাড়ছে।

ইয়োহেই সাসাকাওয়া বলেন, নিপ্পন ফাউন্ডেশনও এ বিষয়ে কাজ করতে ইচ্ছুক।

বৈঠকে অন্যদের মধ্যে অ্যাম্বাসেডর-এ্যাট-লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া উপস্থিত ছিলেন।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর