প্রকাশিত:
৩ জুন ২০২৪, ১৭:৫৬
বর্তমান তুরস্ক সব সময় ফিলিস্তিনিদের পক্ষে শক্ত অবস্থান নিয়েছে। সরাসরি যুদ্ধ অংশগ্রহণ ছাড়া সব ধরণের সহযোগিতা করে আসছে দিনের পর দিন। অবরুদ্ধ গাজার প্রতিরোধ যোদ্ধাদের সংগঠন হামাসের সঙ্গে রয়েছে সু-সম্পর্ক। হামাস নেতারা নিয়মিত তুরস্ক সফর করেন। তুরস্ক ফিলিস্তিনিদের পক্ষে অবস্থান নিয়ে দখলদার ইসরাইলের সঙ্গে সব ধরণের বাণিজ্য ও যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে।
এদিকে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে বর্বর-গুণ্ডা আখ্যা দিয়ে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান বলেছেন, তাকে অবশ্যই থামাতে হবে। সোমবার (৩ জুন) আনাদোলু নিউজ এজেন্সির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
গতকাল (২ জুন) প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, রোববার (২ জুন) তুরস্কের প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করেছেন, নেতানিয়াহু- ‘যিনি এই অঞ্চল এবং পুরো বিশ্বকে বিপর্যয়ের দিকে টেনে নিয়ে যাচ্ছেন’ তাকে অবশ্যই ফিলিস্তিনের বিরুদ্ধে দীর্ঘস্থায়ী প্রচারণা এবং আঞ্চলিক অস্থিরতার বপণ থেকে বিরত থাকতে হবে।
তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় ক্ষমতাসীন জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির মূল্যায়ন ও পরিকল্পনা সভায় এরদোগান বলেন, ‘নেতানিয়াহু নামের এই বর্বর, গুণ্ডা, রক্তপিপাসু ও লোভী- যে আমাদের অঞ্চল এবং সমগ্র বিশ্বকে বিপর্যয়ের দিকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে, তাকে অবশ্যই থামাতে হবে।’
ফিলিস্তিনে দশকব্যাপী ‘নিরবচ্ছিন্ন’ গণহত্যা পরিচালনা এবং ফিলিস্তিনি শিশুদের যেভাবে ‘একটি নষ্ট রাষ্ট্র দ্বারা হত্যা করা হচ্ছে’ এর নিন্দা করে এরদোগান বলেন, আঙ্কারা নিশ্চিত করেছে যে- পুরো বিশ্ব গাজায় ‘বর্বরতা’ স্পষ্টভাবে দেখেছে।
তিনি আরো বলেন, ‘৭৬ বছর ধরে চলমান এই নিপীড়ন, গণহত্যা ও অবিচারের বিরুদ্ধে প্রতিটি প্ল্যাটফর্মে তুর্কি আপত্তি জানায় এবং আমরা আমাদের সকল উপায়ে ফিলিস্তিনি জনগণের পাশে আছি।‘
উল্লেখ্য, ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাস গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরাইলে আকস্মিক বড়ো ধরনের হামলা চালায়। এ সময়ে তারা প্রায় এক হাজার ১৭০ ইসরাইলিকে হত্যা এবং ২৫০ জনকে বন্দী করে। এখনো হামাসের কাছে ১২১ জন বন্দী হিসেবে আটক রয়েছে।
এদিকে ৭ অক্টোবর ইসরাইল গাজায় প্রতিশোধমূলক পাল্টা হামলা শুরু করে যা এখনো চলছে। গাজায় ইসরাইলের অব্যাহত এ হামলায় ৩৬ হাজার ৪৩৯ ফিলিস্তিনী নিহত হয়েছে। এদের অধিকাংশ নারী ও শিশু।
মন্তব্য করুন: