প্রকাশিত:
৩ জুন ২০২৪, ১৭:২৪
এমপি আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যার মামলায় গ্রেপ্তার শিমুল ভূঁইয়ার সেকেন্ড ইন কমান্ড সাইফুল আলম মেম্বারের একদিনের রিমান্ড মঞ্জর করেছেন আদালত।
সোমবার (৩ জুন) বিকাল ৩টার দিকে বিস্ফোরক মামলায় শুনানি শেষে যশোর সদর আমলি আদালত ওই রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন মামলার বাদী ডিবি পুলিশের এসআই মুফিজুল ইসলাম।
এর আগে গত বুধবার (২৯ মে) বিকাল সাড়ে ৪টায় যুবলীগ নেতা প্রফেসর উদয় শংকর হত্যা মামলা ও নতুন করে দায়ের করা বিস্ফোরক মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে সাইফুল আলম মেম্বারকে আদালতে সোপর্দ করা হয়।
ডিবি পুলিশের এসআই মুফিজুল ইসলাম বলেন, যশোর পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার এমপি আনার হত্যায় জড়িত শিমুল ভূঁইয়ার সেকেন্ড ইন কমান্ড চরমপন্থি নেতা সাইফুল আলম মেম্বারকে বিস্ফোরক মামলায় একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। সাইফুল আলম মেম্বার যশোরের অভয়নগর উপজেলার দত্তগাতি গ্রামের আবুল কাশেম মোল্লার ছেলে।
পুলিশ জানায়, সাইফুল মেম্বার চরমপন্থি নেতা শিমুল ভূঁইয়া ওরফে আমান উল্লাহর সেকেন্ড ইন কমান্ড হিসেবে পরিচিত। তিনি যশোরের অভয়নগর উপজেলার রাকিব, সুব্রত এবং মণিরামপুর উপজেলার যুবলীগ নেতা প্রফেসর উদয় শঙ্কর হত্যা মামলায় জড়িত। তাকে গ্রেপ্তার অভিযান শুরু করলে তিনি আত্মগোপনে চলে যান। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ২৮ মে রাত ৯টার দিকে যশোর শহরের বাবলাতলা এলাকার আদর্শ নার্সারি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার কাছ থেকে একটি ভারতীয় নম্বরের মোবাইল ও বিস্ফোরক জব্দ করা হয়েছে। বিকালে তাকে যুবলীগ নেতা প্রফেসর উদয় শংকর হত্যা মামলা ও নতুন করে দায়ের করা বিস্ফোরক মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়; একইসঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বিস্ফোরক মামলায় ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়।
যশোরের পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার জানান, সাম্প্রতিক সময়ে সাইফুল মেম্বার ভারতে ছিলেন। তিনি ভারতীয় মোবাইল নম্বর দিয়ে যোগাযোগ রক্ষা করতেন। গত ২০ মে অবৈধ পথে দেশে ফেরেন। এমপি আনারের ঘটনায় তার সম্পৃক্ততা আছে কিনা সে বিষয়ে বিস্তারিত পরে জানানো হবে।
উল্লেখ্য, গত ১২ মে চিকিৎসার জন্য ভারতে গিয়েছিলেন ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার। ১৩ মে তাকে কৌশলে ডেকে নিয়ে কলকাতার নিউটাউন এলাকার সঞ্জীভা গার্ডেনসের একটি ফ্ল্যাটে হত্যা করে মরদেহ টুকরো টুকরো করে ট্রলি ব্যাগে নিয়ে বিভিন্ন স্থানে ফেলে দেয় হত্যাকারীরা। এ ঘটনায় ভারত ও বাংলাদেশে ৬ জন গ্রেপ্তার হলেও মূল পরিকল্পনাকারী আক্তারুজ্জামান শাহীন যুক্তরাষ্ট্রে পলাতক রয়েছে।
মন্তব্য করুন: