সোমবার, ৩০শে ডিসেম্বর ২০২৪, ১৫ই পৌষ ১৪৩১ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল dailyvobnews@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • খুলেছে সচিবালয়, ক্ষতিগ্রস্ত মন্ত্রণালয়ের কাজ অন্য জায়গায়
  • সচিবালয়ে সাংবাদিক প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা সাময়িক
  • সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন
  • আন্দোলনে নামলেন ২৫ ক্যাডারের কর্মকর্তারা
  • বায়ুদূষণে আজ তৃতীয় ঢাকা, বেশি দূষণ যেসব এলাকায়
  • পান্থকুঞ্জ ও আনোয়ারা পার্ক নিয়ে নতুন করে ভাবা হচ্ছে
  • দেশকে কোনও দলের কাছে ইজারা দেয়া হয়নি
  • সাগরে নিম্নচাপ, দক্ষিণাঞ্চলে বৃষ্টি শুরু
  • ড. ইউনূস আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাষণ দেবেন আজ
  • ২৬ শতাংশ রেমিট্যান্স বেড়েছে হাসিনার পতনের পর

ভাওয়াল রিসোর্টের বিরুদ্ধে মামলা, বনভূমি উদ্ধারে জেলা প্রশাসন

ডেস্ক রির্পোট

প্রকাশিত:
৩ জুন ২০২৪, ১৩:৩৪

গাজীপুরে আলোচিত ভাওয়াল রিসোর্টের মালিকের বিরুদ্ধে দখলকৃত জমি পুনরুদ্ধারের জন্য মামলা দায়ের করা হয়েছে।

রোববার (২ জুন) গাজীপুরের বিজ্ঞ ১ম যুগ্ম জেলা জজ নাজমুন নাহারের আদালতে এই মামলা দায়ের করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী জাহাঙ্গীর হোসেন সরকার। তিনি জানান, আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে সমন জারির আদেশ দিয়েছেন।

আগামী ৬ নভেম্বর অভিযুক্তদের আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

অন্যদিকে, ভাওয়াল রিসোর্টের দখলে থাকা ৩.৬৮ একর বনভূমি উদ্ধারে অভিযান চালানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে গাজীপুর জেলা প্রশাসন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গাজীপুর জেলা প্রশাসক।

ভাওয়াল রিসোর্টের মালিকের বিরুদ্ধে মামলার বাদীরা হলেন- ঢাকার কলাবাগান থানার সার্কুলার রোডের বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. বজলুল হক, তার ভাই ডা. মো. সিরাজুল হক, বোন সামসুন্নাহার এবং ঢাকার মিরপুরের বাসিন্দা মো. জাহিদুল হক, পাপিয়া পারভিন ও তাদের এক ছেলে ও এক মেয়ে।

অন্যদিকে মামলার মূল অভিযুক্তরা হলেন- আম্বার গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. শওকত আজিজ রাসেল। অন্যরা হলেন- রফিকুল ইসলাম মাস্টার, ভাওয়াল রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা- এর ম্যনেজার সুমন ও মো. কামরুল ইসলাম।

মামলায় মোকাবেলা বিবাদী করা হয়েছে, গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব), গাজীপুর সদর সহকারী কমিশনার (ভূমি), গাজীপুর সদর উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সহকারী ভূমি কর্মকর্তা।

মামলার বিবরণে জানা যায়, গাজীপুর সদর উপজেলার বাড়ইপাড়া মৌজা নলজানী গ্রামে বাদীপক্ষের ১০২ শতাংশ সম্পত্তি ২০২২ সালের ১ জানুয়ারি বিবাদীরা জোরপূর্বক জবরদখল করে। জীবনের ভয়ে তারা এতদিন মামলা করতে সাহস পায়নি। মামলায় জমি থেকে আসামিদের উচ্ছেদ করে বাদীপক্ষের নালিশি জমি উদ্ধারের আবেদন করা হয়েছে।

বাদীপক্ষের আইনজীবী জাহাঙ্গীর হোসেন সরকার বলেন, আদালত শুনানীতে সন্তুষ্ট হয়ে সমন জারির নির্দেশ দিয়েছেন। আগামী ৬ নভেম্বর আসামিদের আদালতে হাজির হয়ে জবাব দিতে বলেছেন।

তিনি আরও বলেন, আমরা শুনেছি, পুলিশের সোবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ ভাওয়াল রিসোর্টের ২৫ ভাগ শেয়ারের মালিক। আমরা তার ঠিকানা জানি না, তাই তাকে এ মামলায় বিবাদী করা হয়নি। ঠিকানা পাওয়া গেলে তাকেও এ মামলায় পক্ষভূক্ত করা হবে।

স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, ২০১৩ সালে গাজীপুর সদরের বারইপাড়া মৌজায় ভাওয়াল রিসোর্ট প্রতিষ্ঠা করে দেশের অন্যতম প্রধান শিল্প গ্রুপ পারটেক্স। গ্রুপটির মালিক ও বিএনপি নেতা এম এ হাশেম। তার মৃত্যুর পর তার ছেলে শওকত আজীজ রাসেল বর্তমানে এটির মালিকানায় রয়েছেন।

অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয় অনেক অসহায় মানুষের জমি জোরপূর্বক দখল করে বানানো হয়েছে এই রিসোর্ট।

স্থানীয় লোকেরা আরও জানান, বেনজীর আহমেদ কোনো প্রকার বিনিয়োগ ছাড়াই ভাওয়াল রিসোর্টের ২৫ শতাংশের মালিক হয়েছেন। এ কারণে বেনজীরের ভয়ে স্থানীয় লোকজন ভাওয়াল রিসোর্টের বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস পেতেন না।

এদিকে, গাজীপুরের জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, বন বিভাগের ৩.৬৮ একর জমি উদ্ধারের বিষয়ে ভাওয়াল রিসোর্টের করা মামলায় উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশ ছিল। এ কারণে জেলা প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেনি।

গত বৃহস্পতিবার (৩০ মে) উচ্চ আদালতে মামলায় রায় হয়েছে। আদালত স্থগিতাদেশটি প্রত্যাহার ও ভাওয়াল রিসোর্টের মামলা খারিজ করে দিয়েছেন। ফলে এখন উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনায় কোনো বাধা নেই।

তিনি আরো বলেন, এখন আইনীভাবে উচ্ছেদ অভিযান চালানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আমরা আইন অনুযায়ী ৭ দিনের সময় দিয়ে নোটিশ দেব। তারপর উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হবে। আইনী প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে কয়েক দিন লাগতে পারে।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর