প্রকাশিত:
১ জুন ২০২৪, ১৫:৫৭
ক্রিকেট ম্যাচে বাজি ধরায় নিষিদ্ধ হয়েছেন ইংল্যান্ডের পেসার ব্রাইডন কার্স। ২০১৭ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত বেশ কয়েকটি ক্রিকেট ম্যাচে মোট ৩০৩টি বাজি ধরেছিলেন কার্স। সেসব প্রমাণিত হওয়ায় ১৬ মাসের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে এই ইংলিশ পেসারকে। এর মধ্যে ১৩ মাসের নিষেধাজ্ঞা স্থগিত করা হয়েছে।
তাই মূলত ৩ মাস নিষিদ্ধ থাকবেন কার্স। তার নিষেধাজ্ঞা শেষ হবে আগামী ২৮ আগস্ট। এই তিন মাস সব ধরণের ক্রিকেট থেকে বিরত থাকবেন এই ইংলিশ পেসার। এই সময়ের মধ্যে আবার এই ধরনের কাজ না করলে ২৮ আগস্টের পর তিনি খেলতে পারবেন।
সম্প্রতি কার্সের বিরুদ্ধে ক্রিকেটের দুর্নীতিবিরোধী নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগ আনে ‘ক্রিকেট রেগুলেটর’। এই সংস্থাটি ইসিবির অধীনে স্বাধীন একটি সংস্থা যাদের কাজ হচ্ছে ক্রিকেটের নিয়মনীতির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত বিষয়াদি পর্যবেক্ষণ করা এবং নিয়মনীতির প্রতি সবার আনুগত্য জোরদার করা। ২৮ বছর বয়সী কার্সকে নিয়ে তদন্তও করেছে ‘ক্রিকেট রেগুলেটর’। তাদের কাছে দোষ স্বীকার করেন কার্স।
ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের এক মুখপাত্র বলেছেন, 'এই ব্যাপারগুলি আমরা খুবই গুরুতরভাবে নেই এবং ক্রিকেটে দুর্নীতিবিরোধী ধারা ভঙ্গের কোনো ঘটনাকেই উপেক্ষা করি না। ক্রিকেট রেগুলেটর-এর সিদ্ধান্তকে আমরা সমর্থন করি। আমরা সন্তুষ্ট যে, গত পাঁচ বছরে ব্রাইডন (কার্স) আরও পরিণত হয়েছে এবং নিজের দায়িত্বের প্রতি আর বোধসম্পন্ন হয়ে উঠেছে। আমাদের আশা, তার ঘটনা অন্য ক্রিকেটারদের জন্যও শিক্ষামূলক হয়ে থাকবে।'
এদিকে দুঃখ প্রকাশ করে কার্স বলেন, 'বাজিগুলো কয়েক বছর আগে ধরলেও এটিকে অজুহাত হিসেবে দাঁড় করাতে চাই না। আমি আমার কার্যকলাপের সব দায় (মাথা পেতে) নিচ্ছি। এই কঠিন সময়ে আমাকে সমর্থন দেওয়ায় আমি ইসিবি, ডারহাম এবং প্রফেশনাল ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশনকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। আগামী ১২ সপ্তাহ আমি কঠোর পরিশ্রম করব এবং এটা নিশ্চিত করছি, আপনারা আমাকে যে সমর্থন দিচ্ছেন, তা আবারও খেলতে নেমে শোধ করব।'
মন্তব্য করুন: