প্রকাশিত:
২৯ মে ২০২৪, ১৪:৫১
দক্ষিণ কোরিয়ার নয়টি প্রদেশের মধ্যে আটটিতেই উত্তর কোরিয়ার পাঠানো ওইসব বেলুন পাওয়া গেছে। কর্তৃপক্ষ সেগুলো পরীক্ষা করে দেখছে।
উত্তর কোরিয়া প্রোপাগান্ডা লিফলেট আর আবর্জনা ভর্তি করে অন্তত দেড়শ গ্যাস বেলুন দক্ষিণ কোরিয়ায় পাঠিয়েছে। একের পর এক বেলুন এভাবে আসতে শুরু করায় দক্ষিণ কোরিয়া কর্তৃপক্ষ বাধ্য হয়ে নাগরিকদের সতর্ক করে ঘরের ভেতর অবস্থান করতে বলেছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী বুধবার (২৯ মে) দেওয়া এক বিবৃতিতে জনগণকে সতর্ক করে সাদা রঙের ওইসব বেলুন এবং সেগুলোতে বেঁধে দেওয়া প্লাটিকের ব্যাগ স্পর্শ করতেও বারণ করেছে। বলেছে, সেগুলোতে ‘নোংরা বর্জ্য এবং আবর্জনা’ রয়েছে।
বিবিসি জানায়, দক্ষিণ কোরিয়ার নয়টি প্রদেশের মধ্যে আটটিতেই উত্তর কোরিয়ার পাঠানো ওইসব বেলুন পাওয়া গেছে। কর্তৃপক্ষ সেগুলো পরীক্ষা করে দেখছে।
১৯৫০ এর দশকে কোরিয়া যুদ্ধের সময় থেকেই উভয় কোরিয়া নিজেদের পক্ষে প্রোপাগান্ডা চালাতে গ্যাস বেলুন ব্যবহার করে।
বেলুন পাঠানোর সর্বশেষ এই ঘটনাটির কয়েকদিন আগে উত্তর কোরিয়া বলেছিল, দক্ষিণ কোরিয়ার আন্দোলন কর্মীরা সীমান্ত এলাকায় ‘ঘন ঘন লিফলেট এবং অন্যান্য আবর্জনা ছড়িয়ে দিচ্ছে’। যার বিরুদ্ধে তারা প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
গত রোববার (২৬ মে) এ সংক্রান্ত এক বিবৃতিতে উত্তর কোরিয়ার উপ প্রতিরক্ষামন্ত্রী কিম ক্যাং ইল বলেছিলেন, “শিগগিরই আবর্জনা এবং বর্জ্যের পাহাড় সীমান্তের ওপারে এবং রিপাবলিক অব কোরিয়ার (দক্ষিণ কোরিয়া) ভেতর ছড়িয়ে দেওয়া হবে এবং তারা সরাসরি এই অভিজ্ঞতা অর্জন করবে যে, সেগুলো সরাতে ঠিক কতখানি কষ্ট করতে হয়।”
বিবিসি জানায়, মঙ্গলবার (২৮ মে) রাতে দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউল এবং সীমান্ত অঞ্চলে বসবাস করা নাগরিকরা তাদের মোবাইল ফোনে এটি বার্তা পান। যেখানে প্রাদেশিক কর্তৃপক্ষ তাদের ‘বাড়ির বাইরে বের হওয়া থেকে বিরত থাকতে’ বলে।
সেই সঙ্গে জনগণকে এটাও বলা হয় যে, তারা যদি কোনো ‘অচেনা বস্তু’ দেখতে পায় তবে যেন পাশের সামরিক ঘাঁটি বা পুলিশ স্টেশনে খবর দেয়।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উত্তর কোরিয়া থেকে আবর্জনা ভর্তি বেলুনের অনেক ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। আবর্জনার মধ্যে টয়লেট পেপার, কালো রঙের মাটি, ব্যাটারিসহ আরও অনেক বর্জ্যই রয়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী উত্তরের এই কাণ্ডের নিন্দা জানিয়ে বলেছে, এটা ‘স্পষ্টতই আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন’।
“এটা আমাদের জনগণের নিরাপত্তার উপর গুরুতর হুমকি। ওই বেলুনগুলোর কারণে যা ঘটছে সেটার জন্য উত্তর কোরিয়াই সম্পূর্ণরূপে দায়ী। আমরা উত্তর কোরিয়াকে কঠোরভাবে সতর্ক করে বলছি, তারা যেন এখনই তাদের এই অমানবিক এবং নির্বোধের মত কর্মকাণ্ড বন্ধ করে।”
বিবিসি জানায়, দক্ষিণ কোরিয়ার পিয়ংইয়ং বিরোধীরা উত্তর কোরিয়ায় যেসব বেলুন পাঠিয়েছে সেগুলোতে নানা জিনিসের মধ্যে নগদ অর্থ, নিষিদ্ধ ঘোষণা করা নানা মিডিয়া কনটেন্ট এবং চকো পাইও রয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার জনপ্রিয় নাস্তা চকো পাই উত্তর কোরিয়ায় নিষিদ্ধ।
মন্তব্য করুন: