শনিবার, ৩১শে মে ২০২৫, ১৭ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল dailyvobnews@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • শুরু হচ্ছে নতুন স্মার্ট এনআইডি কার্ড বিতরণ, কিভাবে পাবেন স্মার্ট কার্ড?
  • নোয়াখালীতে ঘরে ঢুকে নারীকে জবাই করে হত্যা, লাশ পুকুরে
  • ভয়াবহ দাবানলে পুড়ছে কানাডা, ম্যানিটোবায় জরুরি অবস্থা জারি
  • আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য হার্ভার্ডের বিকল্প গন্তব্য
  • ভারতের দাসত্ব করবে না বাংলাদেশ, প্রয়োজন হলে জীবন দেবো
  • জেনে নিন মাথায় নতুন চুল গজানোর দুর্দান্ত উপায়
  • ইশরাকের শপথ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচন কমিশন
  • দুর্ভোগ চরমে মাত্র তিন মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাচ্ছেন ২৬ হাজার গ্রাহক
  • নিম্নচাপের প্রভাবে উত্তাল সাগর, বন্দরে ৩ নম্বর সংকেত
  • এটিএম আজহারের খালাস উদযাপন করায় এনসিপিকে বর্জনের ঘোষণা

মানবপাচার চক্রের ৩ সদস্যসহ আটক ৮ বাংলাদেশি

ডেস্ক রির্পোট

প্রকাশিত:
১৮ মে ২০২৪, ১৭:১৬

উন্নত জীবনের প্রলোভন আর আকাশছোঁয়া স্বপ্ন দেখিয়ে অসহায় মানুষদের সর্বস্বান্ত করা মানবপাচার চক্রের ৩ সদস্যসহ ৮ বাংলাদেশিকে আটক করেছে মালয়েশিয়ার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

শনিবার (১৮ মে) এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে দেশটির অভিবাসন বিভাগ। অভিবাসন বিভাগের এক বিবৃতিতে বলা হয়, গত বৃহস্পতিবার (১৬ মে) কুয়ালালামপুরের জালান সুলতান ইসমাইলের একটি আবাসিক এলাকায় অভিযান চালিয়ে আট বাংলাদেশিকে আটক করা হয়।

অভিবাসন পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মানবপাচার চক্রের মূলহোতা গাড়ি নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তবে পুলিশ তাকে আটক করতে সক্ষম হয়।

এরপর গাড়িটি তল্লাশি করে চালকসহ ৩ বাংলাদেশিকে আটক করে পুলিশ। এরপর আটক ওই ৩ জনকে নিয়ে তাদের থাকার জায়গায় অভিযান চালিয়ে আরও পাঁচ বাংলাদেশিকে আটক করা হয়। এই পাঁচ বাংলাদেশির কাছে মালয়েশিয়ায় থাকার জন্য বৈধ কোনো কাগজপত্র, ভ্রমণ নথি বা পাসপোর্ট ছিল না।

অভিযানে ১০টি বাংলাদেশি পাসপোর্ট, তিনটি মোবাইল ফোন, নগদ ৫০০ রিঙ্গিত এবং একটি পেরোডুয়া মাইভি গাড়ি জব্দ করে পুলিশ। গাড়িটি অবৈধ অভিবাসীদের পরিবহনের জন্য ব্যবহার করা হতো বলে জানানো হয়েছে।

অভিবাসন বিভাগের মহাপরিচালক দাতুক রুসলিন জুসোহ বলেন, এই চক্রের অপারেশনের পদ্ধতি ছিল অবৈধ অভিবাসীদের বিশেষ করে বাংলাদেশিদের কাজের প্রলোভন দেখিয়ে মালয়েশিয়ায় আনা।

এক্ষেত্রে তাদের প্রধান রুট হলো বাংলাদেশ থেকে আকাশপথে ভিয়েতনাম তারপর সেখান থেকে গাড়িতে করে থাইল্যান্ডে নিয়ে যাওয়া। এরপর থাইল্যান্ড থেকে নৌকা করে মালয়েশিয়ার কেলান্তান। এরপর কেলান্তান থেকে গাড়িতে করে কুয়ালালামপুরের জালান সুলতান ইসমাইলের ওই আবাসিক এলাকা।

অভিবাসন পুলিশের প্রাথমিক তদন্ত মতে, চক্রটি গত দুই মাস ধরে কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল। তারা প্রতিজনের কাছ থেকে ১৩ হাজার থেকে ২১ হাজার রিঙ্গিত পর্যন্ত নিতো।

২০০৭ সালের অ্যান্টি ট্রাফিকিং ইন পার্সন অ্যান্ড অ্যান্টি-স্মাগলিং অব মাইগ্র্যান্টস অ্যাক্ট (এটিআইপিএসওএম)-এর ২৬এ ধারায় অপরাধ করার সন্দেহে গাড়িতে থাকা ৩ জনকে আটক করা হয়। বাকিদের ইমিগ্রেশন অ্যাক্ট ১৯৫৯/৬৩, পাসপোর্ট অ্যাক্ট ১৯৬৬, ইমিগ্রেশন রেগুলেশন ১৯৬৩ এবং এটিপসম ২০০৭ এর অধীনে আটক করা হয়েছে।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর