প্রকাশিত:
১৭ মার্চ ২০২৪, ১১:৪৭
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকীতে বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রবিবার সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে প্রথমে রাষ্ট্রপতি ও পরে প্রধানমন্ত্রী পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান।
এ সময় তিন বাহিনীর একটি চৌকসদল রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীকে গার্ড অব অনার প্রদান করেন। পরে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী ৭৫ এর ১৫ আগষ্ট নিহত বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের শহীদ সদস্যদের রূহের মাগফেরাত কামনায় ফাতেহাপাঠ ও বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন।
পরে প্রধানমন্ত্রী দলীয়ভাবে নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
এ সময় ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, আ.ফ.ম বাহাউদ্দিন নাসিম, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহাবুব আলী খান, সাধারণ সম্পাদক জিএম সাহাব উদ্দিন আজমসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধানমন্ত্রী সমাধি সৌধ কমপ্লেক্সে পৌঁছান। প্রধানমন্ত্রী পৌঁছানোর ৫ মিনিট পর রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে পৌঁছান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্রপতিকে বঙ্গবন্ধুর সমাধি সৌধ কমপ্লেক্সে অভ্যর্থনা জানান। পরে রাষ্ট্রপতি সমাধি সৌধের পাশে রক্ষিত পরিদর্শন বইতে মন্তব্য লিখে স্বাক্ষর করেন।
রাষ্ট্রপতি ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেওয়া পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্রীয় কর্মসূচি শিশু সমাবেশে যোগ দেন। বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে ও জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখবেন মহিলা ও শিমু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমা মোবারেক।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখবেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন (রিমি)।
এরপর প্রধানমন্ত্রী সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কার প্রদান করবেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী অসচ্ছল, মেধাবী শিশু শিক্ষার্থীদের মধ্যে আর্থিক অনুদান বিতরণ করবেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও ফটোসেশনে অংশ নেবেন। পরে প্রধানমন্ত্রী বইমেলা ও সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের আঁকা চিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করবেন।
রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে কেন্দ্র করে টুঙ্গিপাড়াসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে নির্মাণ করা হয়েছে তোরণ। নেতাকর্মীদের মাঝে দেখা দিয়েছে আনন্দ-উদ্দীপনা। রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ অতিথিদের আগমনকে নির্বিঘ্ন করতে টুঙ্গিপাড়াসহ গোপালগঞ্জজুড়ে তিনস্তর বিশিষ্ট নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন: