প্রকাশিত:
২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪, ১৬:১৫
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার টেকসই, জবাবদিহিমূলক ও জনবান্ধব ভূমি সংস্কারকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন ভূমিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ। তিনি বলেছেন, ‘আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, শিল্প ও খনিজ সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার, কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা, দারিদ্র্য বিমোচন এবং সর্বোপরি জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলাসহ উন্নয়নের সকল ক্ষেত্রে ভূমি প্রয়োজন। সেই বিবেচনায় ভূমি ব্যবস্থাপনাকে স্মার্ট ও আধুনিকায়নে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’
শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স (আইডিইবি) ভবনের মাল্টিপারপাস হলরুমে ভূমিমন্ত্রীর সংবর্ধনা ও বাংলাদেশ ম্যানেজমেন্ট সার্ভেয়ার’স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএসএ) অভিষেক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বিএমএসএ’র কেন্দ্রীয় সভাপতি মোহাম্মদ শামিউল ইসলাম শামিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের যুগ্ম সচিব মুজিবুর রহমান ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. সাদেকুল ইসলাম। বিএমএসএ’র সহ-সাধারণ সম্পাদক মো. ইসমাইল হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ সার্ভে ইনস্টিটিউট কুমিল্লার অধ্যক্ষ মোবারক হোসেন, রাজশাহী সার্ভে ইসস্টিটিউট অধ্যক্ষ মাহমুদ হোসেন, আইডিএসইবি’র মহাসচিব মাঈনুল হক চৌধুরী দুলাল, সেটেলমেন্ট সার্ভেয়ার্স সমিতির সাধারণ সম্পাদক ফারুক হোসেন, কানুনগো কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মাহমুদুল হাসান, বিএমএসএ’র সাধারণ সম্পাদক মো. মিরাজ হোসেন প্রমুখ। বিএমএমএ’র নবনির্বাচিত কমিটির সদস্যদের শপথবাক্য পাঠ করান কানুনগো খলিলুর রহমান।
অনুষ্ঠানে ভূমি ব্যবস্থাপনা আধুনিকায়নে সরকারের নানামুখি পদক্ষেপ তুলে ধরেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘দেশ এখন উন্নয়নের মহাসড়কে। ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত মোকাবেলা করে প্রধানমন্ত্রী দেশকে এগিয়ে নিচ্ছেন। উন্নয়নের এই অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে আপনাদেরকে স্বচ্ছতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘ভূমি ব্যবস্থাপনায় এখানো দুর্নীতি চলছে।
তৃতীয় পক্ষ (দালাল) যেনো ভূমি অফিসে না ঢুকে। আপনারা সাধারণ মানুষকে সহযোগিতা করবেন এবং বলবেন তাঁরা যেনো দালালের কাছে না যায়।’
দুনীতির বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর জিরো টলারেন্স নীতির নির্দেশনা তুলে ধরে মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ বলেন, ‘ভূমি সংক্রান্ত বিষয়ে অতীতে যে কথাগুলো ছিলো, সে কথাগুলো থেকে আমাদের মুক্ত হতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকল ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা-জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার উদ্যোগ নিয়েছেন। সেই নির্দেশনা বাস্তবায়নে সার্ভেয়ারসহ সকলের সহযোগিতা চাই।
’বিএমএসএ’র পক্ষ থেকে উত্থাপিত দাবিগুলো বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের প্রতিশ্রুতি দেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমার মন্ত্রণালয়ের কেউ ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে না। পর্যায়ক্রমে সকল দাবি বাস্তবায়ন হবে। এক্ষেত্রে প্রয়োজনে অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা নেওয়া হবে।’
অনুষ্ঠানে দাবিনামায় বলা হয়, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী, সার্ভেয়ার পদকে দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীত ও ভূমি মন্ত্রণালয়ে কর্মরত সার্ভেয়ার পদের বেতন ১১তম গ্রেডে দিতে হবে। সার্ভেয়ার পদটি কারিগরি হওয়ায় সরকারের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী সার্ভেয়ার ও সমমানের পদের পদবী পরিবর্তন করে উপ-সহকারী প্রকৌশলী (সার্ভে) অথবা জরিপ কর্মকর্তা করতে হবে। সার্ভেয়ার ও সমমান পদে কর্মরতদেরকে কানুনগো, উপ-সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার, সহকারী জরিপ অফিসার বা উপ-সহকারী প্রকৌশলী পদে দ্রুত জেষ্ঠ্যতার ভিত্তিতে পদোন্নতি দিতে হবে। সার্ভেয়ার পদকে কারিগরী পদ হিসেবে ঘোষণা করতে হবে।
মন্তব্য করুন: