প্রকাশিত:
১৬ জানুয়ারী ২০২৪, ১৫:৪৪
সারা দেশে গ্যাসের সংকট চলছে। তবে সেটি শিগগির কেটে যাবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘গ্যাস আমদের একটি বড় চ্যালেঞ্জ। বেশ কিছুদিন ধরে গ্যাসের স্বল্পতা দেখা দিয়েছে।
আমরা আশা করছি এ অসুবিধা খুব সাময়িক। প্রচণ্ড শীতের কারণেও গ্যাসের চাপ কিছুটা কমে গেছে। মেরামতে থাকা এলএনজির দ্বিতীয় টার্মিনালটি দু-একদিনের মধ্যে চালু হয়ে যাবে। তখন গ্রিডে দৈনিক ৪০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের সরবরাহ বাড়বে।
’আজ (১৬ জানুয়ারি) মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের অগ্রগতি, সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
নসরুল হামিদ বলেন, ‘আমাদের বড় পরিকল্পনা হলো আগামী মার্চ থেকে আমরা যেন গ্যাস নিরবচ্ছিন্ন রাখতে পারি। সামনে রোজার মাস আসছে, সেটা সামনে রেখে এই পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া আগামী ২০২৬ সালের মধ্যে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিতের লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার।
’দেশীয় গ্যাসের উৎপাদন বাড়ানোর বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ৪৬টি কূপ খননের যে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে, সেটি আগামী ২০২৫ সালের মধ্যেই শেষ হবে। এতে দেশে ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব হবে। নতুন করে আরো ১০০ কূপ খননের পরিকল্পনাও নেওয়া হচ্ছে। পেট্রোবাংলা আগামী ৫০ বছরের গ্যাস উত্তোলন, সরবরাহ সংক্রান্ত মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।
নসরুল হামিদ বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে জ্বালানি তেল ও গ্যাসের মূল্য নির্ধারণ করা হবে।
আগামী মার্চের দিকে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে জ্বালানি তেলের দর নির্ধারণ বাস্তবায়ন হতে পারে। এরপর গ্যাসের দর বাস্তবায়ন হবে। তবে বিশ্ববাজারে জ্বালানির দাম বেড়ে গেলেও দেশের বাজারে যাতে দাম সহনীয় রাখা যায় সেই বিষয়টিও গুরুত্ব দেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন: