প্রকাশিত:
৯ জানুয়ারী ২০২৪, ১১:১৫
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তৃণমূল বিএনপি, সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি) এবং বিএনএমের ২৫৮ জন প্রার্থীর জামায়াত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। শুধু বিএনএমের একজন প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়নি। এই দলগুলো ভোটের আগে কিংস পার্টি হিসেবে পরিচিতি পেলেও তাদের কোনো প্রার্থী জয়ী হতে পারেননি। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিন দলের ফলাফল বিশ্লেষণ করে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, তিন দলের মোট প্রার্থী ছিলেন ২৫৯ জন। এর মধ্যে তৃণমূল বিএনপির ১৫৩, বিএসপির ৭৯ এবং বিএনএমের ৪৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
সংসদ নির্বাচনের আইন অনুযায়ী, কোনো আসনে কাস্ট হওয়া ভোটের আট ভাগের এক ভাগের কম ভোট পেলে প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হবে। ভোটের আগে আলোচনায় থাকলেও ফলাফলে ভরাডুবি হয়েছে তৃণমূল বিএনপির চেয়ারপারসন শমসের মবিন চৌধুরী ও মহাসচিব তৈমূর আলম খন্দকারের।
দুজনই জামানত হারিয়েছেন। বিএনএমের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শাহ মোহাম্মদ আবু জাফর এবং বিএসপির চেয়ারম্যান সৈয়দ সাইফুদ্দিন আহমেদ মাইজভাণ্ডারীও জামানত হারিয়েছেন।
সবার জামানত বাজেয়াপ্ত
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৩৫ জন প্রার্থী তৃণমূল বিএনপির সোনালি আঁশ প্রতীকে অংশ নেন। দলের সবার জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।
এক হাজারের বেশি ভোট পেয়েছেন মাত্র সাতজন।
বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা শেষে দেখা যায়, সিলেট-৬ আসনে ১০ হাজার ৮৫৮ ভোট পেয়ে তৃতীয় হয়েছেন শমসের মবিন। ১২ শতাংশের কম ভোট পাওয়ায় জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে তাঁর। নারায়ণগঞ্জ-১ আসনে মাত্র তিন হাজার ১৯০ ভোট পেয়েছেন তৈমূর আলম খন্দকার।
বিএনএমের গোলাম রেজা দ্বিতীয়
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে গত বছরের অক্টোবরে ইসির নিবন্ধন পায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম)।
দলটিতে যোগ দিয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন বিএনপি ও জাতীয় পার্টির ছয় সংসদ সদস্য। মাত্র ৪৫ জন প্রার্থী বিএনএমের নোঙর প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৩৮ হাজার ৮৮ ভোট পেয়েছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের প্রার্থী এইচ এম গোলাম রেজা। ওই আসনে বিজয়ী প্রার্থীর চেয়ে ৯৮ হাজার ৩০৭ ভোট কম পেয়ে দ্বিতীয় হয়েছেন তিনি। এর বাইরে ১২ শতাংশ ভোট না পাওয়ায় দলটির বাকি সব প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হবে। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এবং বিএনপির সাবেক নেতা শাহ মোহাম্মদ আবু জাফর নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন ফরিদপুর-১ আসন থেকে। ২২ হাজার ৪৬৫টি ভোট পেলেও বিধি অনুযায়ী জামানত হারিয়েছেন তিনি। চাঁদপুর-৪ আসনে থেকে এক হাজার ৭৭ ভোট পেয়ে জামানত হারালেন দলটির মহাসচিব মো. শাহজাহান। জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য জাফর ইকবাল সিদ্দিকী নোঙর প্রতীকে ভোট করেন নীলফামারী-১ আসনে। এ ছাড়া বিএনএমের নোঙর প্রতীক নিয়ে পাবনা-২ আসনের প্রার্থী হয়েছিলেন কণ্ঠশিল্পী ডলি সায়ন্তনী।
বিএসপির সবাই জামানত হারালেন
চট্টগ্রাম-২ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর বিপরীতে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে বিবেচিত হয়েছিলেন বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির (বিএসপি) চেয়ারম্যান সৈয়দ সাইফুদ্দিন আহমেদ মাইজভাণ্ডারী। বেসরকারি ফলাফল অনুযায়ী তিনি ভোট পেয়েছেন মাত্র তিন হাজার ১৩৮টি।
মন্তব্য করুন: