প্রকাশিত:
৮ জানুয়ারী ২০২৪, ১৮:৩৩
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৪১.৮ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেছেন, এ বিষয়ে কারো সন্দেহ থাকলে চ্যালেঞ্জ করতে পারেন।
আজ (৮ জানুয়ারি) সোমবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ আহ্বান জানান সিইসি। ভোটপড়ার চূড়ান্ত হার জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এখন যে ফলাফল দাঁড়িয়েছে সেটা হচ্ছে ৪১.৮ শতাংশ।
কারো যদি কোনো সন্দেহ-দ্বিধা থাকে, ইউ ক্যান চ্যালেঞ্জ ইট; এবং এটা পরীক্ষা করে দেখতে পারেন। রেজাল্টগুলো আসছে, যদি মনে করেন বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, তাহলে ইউ আর মোস্ট ওয়েলকাম; ওটাকে চ্যালেঞ্জ করে আমাদের অসততা আপনারা পরীক্ষা করে দেখতে পারেন। এখন ফাইনাল যে পারসেন্টেজটা হচ্ছে ৪১.৮ শতাংশ।’
রবিবার ভোটগ্রহণ শেষে ব্রিফিংয়ে সিইসি বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৪০ শতাংশের মতো ভোট পড়েছে।
তবে এটা নিশ্চিত নয়, প্রকৃত হিসাব এখন বলা যাবে না। ভোটের হারের এই হিসাবে কিছুটা ব্যত্যয় হতে পারে, সব গণনার পর ভোটের হার বাড়তে পারে, বাড়তে নাও পারে। তার আগে বিকেল ৩টায় ইসি সচিব জানান, ভোট পড়েছে ২৬.৩৭ শতাংশ।
এক ঘণ্টায় ভোটের ব্যবধান বাড়ল কিভাবে―এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, বিকেল ৩টা না, সেটা ২টা পর্যন্ত রেজাল্ট ছিল।
সচিব সাহেব ৩টার রেজাল্ট জানিয়েছেন―এমন বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, ‘এটা আপনারা একটা কাজ করতে পারেন। টোটাল রেজাল্টটা যখন চলে আসে, আসার পরে কে কতটা ভোট পেল, ২৯৮টা সংসদীয় আসনের একজন দুইজন তিনজন চারজন ওটাকে যোগ করলে একটা যোগফল বের হয়। এটা কিন্তু খুব কঠিন নয়। লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি নয় এটাকে যোগ করে এক্সেলে ফেলে দিলে পার্সেন্টেজটা টিপ দিলেই বেরিয়ে আসে।’
তিনি বলেন, ‘যখন আমি ২টার সময়ে বলি তখন কোনোভাবেই এটা সঠিক পুরোপুরি সঠিক হওয়ার কথা নয়।
যখন ৪টার সময়ে বলি এটা কোনোভাবেই সঠিক হওয়ার কথা নয়। সর্বশেষ রেজাল্টটা দাঁড়িয়েছে ৪১.৮ শতাংশ।’
এর আগে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল দুপুর পৌনে ১টার সময় সিইসির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। প্রতিনিধিদলে দেশটির নির্বাচনী পর্যবেক্ষকরাও ছিলেন।
সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, ‘জাপানের নির্বাচনী পর্যবেক্ষকদল আমাদের সাথে সৌজন্যে সাক্ষাৎ করেছে। তাদের মূল উদ্দেশ্য আমাদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করা, যেটা কার্টেসি, ডিমান্ড করা ধন্যবাদ জানিয়েছে। তারা নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেছে। একটা রিপোর্ট দেবে। তারা বলেছে তারা অতন্ত সন্তুষ্ট। তারা ভাষ্য দিচ্ছে, তারা অত্যন্ত সন্তুষ্ট।’ তিনি আরো বলেন, ‘তাদের একজন ১৫-১৬টা সেন্টারে গিয়েছেন। আরেকজন চার-পাঁচটা সেন্টারে গিয়েছেন। সব জায়গায় আমাদের যে পোলিংয়ের দায়িত্ব ছিলেন তাদের প্রপেশানালিজমের সুনাম করেছেন, সুশৃঙ্খল পদ্ধতিতে যে নির্বাচন হয়েছে এটার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। তারা সুশৃঙ্খল দেখতে পেয়েছেন এবং তারা আশা করেন এই নির্বাচনটা বাংলাদেশের জন্য একটা দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।’
সিইসি বলেন, ‘বাংলাদেশের ভবিষ্যতের নির্বাচনের জন্য যদি অধিকতর কোনো সহযোগিতা কামনা করি তাহলে তারা আমাদের সহযোগিতা করতেও রাজি, টেকনিক্যালি এবং ইলেকট্রনিক কোনো কিছু লাগে সেটা আমরা বসে সিদ্ধান্ত নেব। প্রয়োজন হলে আমরা তাদের সহযোগিতা নেব। আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে, তারা উদারভাবে তাদের মন্তব্য করেছেন এবং ভবিষ্যতে সহযোগিতা করার যে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন এটা তাদের উদারতার বহিঃপ্রকাশ।’
মন্তব্য করুন: