শুক্রবার, ১০ই জানুয়ারী ২০২৫, ২৭শে পৌষ ১৪৩১ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল dailyvobnews@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • বিডিআর বিদ্রোহ মামলার পরবর্তী শুনানি ১৯ জানুয়ারি
  • বাংলাদেশে অস্ত্র বিক্রি করতে আগ্রহী তুরস্ক
  • টিসিবির পণ্য মিলবে স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ডে
  • ১৫২ কর্মকর্তাকে বেতনের টাকা ফেরত দিতে বলল ইসি
  • শেখ হাসিনাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
  • আগামী নির্বাচনে ভিন্নরূপে দেখা যাবে আনসার-ভিডিপিকে
  • প্রবাসীদের এনআইডির সার্ভিস চার্জ পর্যালোচনা করবে ইসি
  • নতুন ভোটার ১৮ লাখ ৩৩ হাজার, মোট ১২ কোটি ৩৬ লাখের বেশি
  • বছরের প্রথম দিনে ঢাকার বাতাস ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’
  • অতিরিক্ত সচিব হলেন ১২ কর্মকর্তা

ঢাকায় চরম বায়ুদূষণের দিন

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত:
২৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৪:১০

ঢাকার বাতাস শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) সকালে অন্তত দুই ঘণ্টার জন্য ছিল চরম অস্বাস্থ্যকর ও দুর্যোগপূর্ণ। সকাল ৬টায় ঢাকাবাসীর দিন শুরু হয় খুব অস্বাস্থ্যকর বায়ু দিয়ে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঢাকার বাতাসের দূষণও বাড়তে থাকে। সকাল ৮টায় দূষণ বেড়ে তা দুর্যোগপূর্ণ অবস্থায় চলে যায়।

তা সকাল ১০টার পরও ছিল।
রাজধানীর বায়ুদূষণের এ পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। প্রতিষ্ঠানটি তাত্ক্ষণিকভাবে বিশ্বের বিভিন্ন শহরের বায়ুমান সূচক সম্পর্কে নিয়মিত মানুষকে তথ্য ও সতর্কতামূলক তথ্য দেয়। দেশে বায়ুদূষণের বিষয়ে স্বাস্থ্য সতর্কতা জারির কোনো ব্যবস্থা নেই।

পরিবেশ অধিদপ্তর বলেছে, তারা এ বিষয়ে গুরুত্বের সঙ্গে চিন্তা করছে।
সকাল ৬টায় ঢাকার বায়ুমান সূচক (এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স-একিউআই) ছিল ২১৫, যা খুব অস্বাস্থ্যকর অবস্থাকে নির্দেশ করে। বায়ুমান সূচকে সকাল ৯টায় ঢাকার স্কোর ছিল ৪৪০, যা চলতি বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। এ সময় বায়ুদূষণে বিশ্বের বিভিন্ন শহরের মধ্যে ঢাকার অবস্থান ছিল প্রথম।


আইকিউএয়ারের ওয়েবসাইটের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, সকাল ৭টায় ঢাকার বায়ু ছিল খুব অস্বাস্থ্যকর। সকাল ৮টা, ৯টা ও ১০টায় বায়ুমান ছিল সবচেয়ে খারাপ বা দুর্যোগপূর্ণ। সকাল ১১টা থেকে অবশ্য ঢাকার বায়ুদূষণ কমতে থাকে। সর্বশেষ শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) রাত ১০টায় ঢাকার বাতাস ছিল খুব অস্বাস্থ্যকর। মূলত অতিক্ষুদ্র বস্তুকণা (পিএম ২.৫) ঢাকার বায়ুদূষণের প্রধান উৎস।


সকাল ৮টায় পিএম ২.৫ ছিল ৩২৭ মাইক্রোগ্রাম, সকাল ৯টায় ৪১০ মাইক্রোগ্রাম, সকাল ১০টায় ২৯৮.৫ মাইক্রোগ্রাম। অন্যদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডাব্লিউএইচও) মানদণ্ড অনুযায়ী, একটি শহরের বাতাসে পিএম ২.৫ দৈনিক ৬৫ মাইক্রোগ্রাম পর্যন্ত থাকলে তা সহনীয়। সেই হিসাবে শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) সকাল ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত ঢাকার বাতাসে পিএম ২.৫ গড়ে অন্তত পাঁচ গুণ বেশি ছিল।
বিশ্বব্যাংক ও পরিবেশ অধিদপ্তরের এক যৌথ প্রতিবেদনে বায়ুদূষণের তিনটি কারণ উল্লেখ করা হয়েছে। এগুলো হলো—ইটভাটার ধোঁয়া ও ধুলা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণকাজ থেকে সৃষ্ট দূষণ।

রাজধানীর বেসরকারি স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস) বায়ুদূষণের ছয়টি কারণ চিহ্নিত করেছে। এগুলো হলো—নির্মাণকাজ, ইটভাটা ও শিল্প-কারখানা, যানবাহনের ধোঁয়া, আন্তর্দেশীয় দূষণ (নেপাল ও ভারত থেকে আসা দূষিত বাতাস), রান্নাঘরের ধোঁয়া ও শহুরে বর্জ্য।

বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে তাকে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১ থেকে ১০০-এর মধ্যে থাকলে সহনীয় বা গ্রহণযোগ্য বলে বিবেচনা করা হয়। সূচক ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর ধরা হয়। ১৫১ থেকে ২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত হয়।

এ বিষয়ে ক্যাপসের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক অধ্যাপক আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) বলেন, ‘আজ (গতকাল) কিছু সময়ের জন্য ঢাকার বাতাস দুর্যোগপূর্ণ ছিল। সকালে আকাশ মেঘলা থাকার কারণে সূর্যের আলো আসতে পারেনি। মেঘের স্তরের কারণে নিচের বা ভূপৃষ্ঠের দূষণ ওপরের দিকে যেতে পারেনি। ৩০ ঘণ্টা ধরে ধুলাবালি, ধোঁয়া দূষক ভূপৃষ্ঠের তিন-চার কিলোমিটারের মধ্যে অর্থাৎ ট্রপোস্ফিয়ারের নিম্নস্তরে অবস্থান করছে। তিনটি উপায়ে তা কমতে পারে। বৃষ্টি হলে, সূর্যের আলো প্রবেশ করে ধোঁয়াশা কেটে গেলে এবং জোরে বাতাস বইলে। অর্থাৎ পুরো বিষয়টাই প্রকৃতিনির্ভর।

বিশ্বব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী, প্রতিবছর বাংলাদেশে বায়ুদূষণজনিত রোগে ৮০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। চলতি বছর শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় দেখা গেছে, বায়ুদূষণের কারণে ঢাকার মানুষের গড় আয়ু কমছে সাড়ে সাত বছর।

ক্যাপসের হিসাব অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম ১১ মাসে (জানুয়ারি-নভেম্বর) আগের সাত বছরের প্রথম ১১ মাসের তুলনায় গড়ে প্রায় ১৬.২ শতাংশ বেশি বায়ুদূষণ হয়েছে, ২০২২ সালের তুলনায় যা ৬.৮ শতাংশ বেশি।

ঢাকাবাসী সবচেয়ে বেশি দিন দুর্যোগপূর্ণ বায়ু সেবন করেছে চলতি বছরের জানুয়ারিতে। জানুয়ারির মোট ৯ দিন রাজধানীর বাতাসের মান দুর্যোগপূর্ণ ছিল, যা গত সাত বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। চলতি বছর অন্তত বায়ুদূষণের পাঁচটি রেকর্ডের সাক্ষী হয়েছে ঢাকাবাসী। আট বছরের মধ্যে চলতি বছরের পাঁচ মাসেই আগের বছরগুলোর তুলনায় রাজধানীতে সবচেয়ে বেশি বায়ুদূষণ দেখা গেছে। আট বছরের মধ্যে চলতি বছরের জানুয়ারি, এপ্রিল, মে, আগস্ট ও অক্টোবর মাসে সবচেয়ে বেশি বায়ুদূষণ ছিল ঢাকায়।

এ বছর শুষ্ক মৌসুমে ঢাকার বায়ুদূষণের চিত্র

ক্যাপসের গবেষণা তথ্য অনুযায়ী, রাজধানীতে শীতকালে বা শুষ্ক মৌসুমের পাঁচ মাসে (নভেম্বর-মার্চ) সারা বছরের প্রায় ৫৭ শতাংশ বায়ুদূষণ হয়ে থাকে। বর্ষা বা প্রাক-বর্ষাকালীন বাকি সাত মাসে ৪৩ শতাংশ বায়ুদূষণ হয়ে থাকে।

তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় গত নভেম্বরে ঢাকার বায়ুদূষণ কিছুটা কম ছিল। নভেম্বরে ঢাকার বাতাস অস্বাস্থ্যকর থাকলেও গত সাত বছরের তুলনায় দূষণের পরিমাণ ০.৭ শতাংশ কম ছিল।

গবেষকরা বলছেন, নভেম্বরে ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে বৃষ্টি হয়েছে। যে কারণে বায়ুদূষণ অন্যান্য বছরের তুলনায় কিছুটা কম ছিল। ডিসেম্বরের শুরুর দিকে দূষণ কিছুটা কম থাকলেও সময় গড়ার সঙ্গে সঙ্গে আবার দূষণ বাড়ছে। গত বেশ কিছুদিন ধরেই দূষণের ঊর্ধ্বমুখী অবস্থা দেখা যাচ্ছে।

আইকিউএয়ারের তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসের প্রথম ২১ দিনের বায়ুমান ছিল অস্বাস্থ্যকর এবং খুব অস্বাস্থ্যকর। প্রথম আট দিন (১ থেকে ৮ ডিসেম্বর) খুব অস্বাস্থ্যকর (২০১-৩০০), পরের ১৩ দিন (৯ থেকে ২১) ছিল খুব অস্বাস্থ্যকর।

তিন বছর ধরে ঊর্ধ্বমুখী ঢাকার বায়ুদূষণ

আট বছরের বায়ুমান সূচক বিশ্লেষণ করে ক্যাপস দেখিয়েছে, ২০২১ ও ২০২২ সালে সবচেয়ে বেশি দূষণ ছিল রাজধানীর বাতাসে, যার ধারাবাহিকতা চলতি বছরও রয়েছে। ২০২১ সালে রাজধানীর গড় বায়ুমান সূচক ছিল ১৫৯.০৮ এবং ২০২২ সালে ছিল ১৬২.৮৪। ২০২৩ সালের ১১ মাসের গড় বায়ুমান সূচক ১৬৬।

গবেষকরা বলছেন, দূষণ এভাবে ঊর্ধ্বমুখী থাকলে চলতি বছর ঢাকার বায়ুদূষণ বিগত বছরগুলোর তুলনায় সবচেয়ে বেশি থাকতে পারে।

যেসব কারণে দূষণ কমছে না

পরিবেশকর্মী ও নগর পরিকল্পনাবিদ স্থপতি ইকবাল হাবিব বলেন, ঢাকা বিকলাঙ্গ প্রজন্ম তৈরির কারখানায় পরিণত হয়েছে। বায়ুদূষণের কারণে মানুষ শ্বাসপ্রদাহজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে এবং ফুসফুসের সক্ষমতা দুর্বল হচ্ছে, যা মানুষের অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ক্ষতি করছে।

ঢাকার বায়ুদূষণ কমাতে না পারার দায় কার, এমন প্রশ্নের জবাবে পরিবেশ অধিদপ্তরের বায়ুমান ব্যবস্থাপনার পরিচালক মো. জিয়াউল হক বলেন, ‘ঢাকার ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ বায়দূষণ ভারতের মতো প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে হয়। আমাদের দেশের ভেতর যা হচ্ছে, বিশেষ করে নির্মাণ খাত থেকে হওয়া বায়ুদূষণ কমানো সম্ভব হয়নি। দূষণ নিয়ন্ত্রণে আমাদের একটা উচ্চ পর্যায়ের কমিটি রয়েছে। গত ১৯ নভেম্বর কমিটির সভা থেকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরগুলোকে বেশ কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কিভাবে বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা মেনে নির্মাণকাজ করতে হবে, সেসংক্রান্ত পরিষ্কার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এটা বোধহয় পুরোপুরি মানা হচ্ছে না। অধিদপ্তর এককভাবে এখানে কিছু করতে পারবে না। এটা সম্মিলিতভাবে করতে হবে।’

অন্যদিকে অধ্যাপক আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) বলেন, ‘আমাদের মগবাজার বা ৩০০ ফুটের বায়ুদূষণ উপমহাদেশীয় দূষণ কিভাবে হয়? উপমহাদেশীয় দূষণ আছে আমাদের, কিন্তু সেটা সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ। শুষ্ক মৌসুমে বায়ুদূষণের জন্য ঢাকার রাস্তার ধুলাবালুই যথেষ্ট। এরপর আবার এই সময় শিল্প-কলকারখানা, ইটের ভাটা, যানবাহন এগুলো তো আছেই। আমাদের বায়ুদূষণ হয় মূলত স্থানীয় বা অভ্যন্তরীণ উৎস থেকেই। উপমহাদেশীয় দূষণ এখানে গৌন উৎস। আমাদের তো আগে স্থানীয় দূষণ কমাতে হবে।’

পরিবেশ অধিদপ্তরের একটি সূত্র জানিয়েছে, মেট্রো রেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েসহ সরকারের বড় বড় নির্মাণ প্রকল্পগুলো এখনো পুরোপুরি শেষ হয়নি। ফলে এই কাজগুলো পুরোপুরি শেষ না হওয়া পর্যন্ত বায়ুদূষণ কমানোর পদক্ষেপের সুফল পুরোপুরি পাওয়া যাবে না।

নেই স্বাস্থ্য সতর্কতা জারির ব্যবস্থা

দেশে বায়ুদূষণের বিষয়ে স্বাস্থ্য সতর্কতা জারির কোনো ব্যবস্থা নেই। এ ব্যাপারে আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার বলেন, দূষণ সম্পর্কে মানুষকে জানানো স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও পরিবেশ অধিদপ্তরের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। এ সময় সবাইকে বাইরে বের হওয়ার সময় মাস্ক পরাসহ কিছু স্বাস্থ্য সতর্কতামূলক নির্দেশনা অনুসরণ করতে হবে।

বিষয়টি স্বীকার করে পরিবেশ অধিদপ্তরের বায়ুমান ব্যবস্থাপনার পরিচালক মো. জিয়াউল হক বলেন, ‘আমরা এখন তাত্ক্ষণিকভাবে ১৬টি স্টেশন থেকে বায়ুমান অবস্থা এক ঘণ্টা পর পর ওয়েবসাইটে দিচ্ছি, যা আগে একদিন পর পর দিতাম। আরো স্বাস্থ্য সতর্কতা জারির বিষয়টি আমরা খুব গুরুত্বের সঙ্গে চিন্তা করছি। আমাদের পরিকল্পনা আছে, বায়ুমান সূচক ৩০০ বা ৩৫০ পেরোলেই স্বাস্থ্য সতর্কতা জারি করব। জানুয়ারির শেষে আমাদের উচ্চ পর্যায়ের কমিটির আরেকটি সভা হবে। সেখানে বিষয়টি নিয়ে আমরা আলোচনা করব।’


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর