প্রকাশিত:
২০ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:১২
পৌষের প্রথম চার দিন পার হয়ে গেল। সাধারণত এই সময়ে সারা দেশে হাড়-কাঁপানো শীত থাকলেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার শীত কিছুটা কম অনুভূত হচ্ছে। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, পৌষের প্রথমার্ধের বাকিটা সময় (৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত) শীতের তীব্রতা অন্যান্য বছরের তুলনায় কিছুটা কম থাকতে পারে।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী শুক্রবার রাত কিংবা পরদিন শনিবার থেকে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বৃষ্টি হতে পারে।
আকাশে মেঘের উপস্থিতি থাকায় এ সময় সারা দেশে তাপমাত্রা বাড়তে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক বলেন, ‘আরো দু-এক দিন শীত একই রকম থাকতে পারে। এরপর দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সামান্য বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। তখন তাপমাত্রা আবার বাড়তে পারে।
চলতি মাসের বাকি দিনগুলোতে শীতের তীব্রতা বাড়ার সম্ভাবনা কম। চলতি মাসের শেষের দিকে দেশের কোনো কোনো অঞ্চলে শৈত্যপ্রবাহের আভাস দিলেও সেই সম্ভাবনা এখন কমে এসেছে।’
সারা দেশে গড় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বেশি থাকলেও চার দিন ধরেই উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে শৈত্যপ্রবাহের মতো পরিস্থিতি বিরাজ করছে। মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এর আগের দিন ৯.৭ ডিগ্রি, রবিবার ১০ ডিগ্রি ও শনিবার ৯.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়।
কিছুদিন ধরে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ থেকে ১৪ ডিগ্রির মধ্যে থাকছে। ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে অঞ্চলভেদে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ থেকে ১৭ ডিগ্রির মধ্যে রয়েছে। ময়মনসিংহ, সিলেট, খুলনা ও বরিশাল বিভাগে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ থেকে ১৫ ডিগ্রির মধ্যে ছিল মঙ্গলবার।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বুধবার (২০ ডিসেম্বর) সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
শেষরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের নদী অববাহিকায় কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং অন্যান্য অঞ্চলে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা পড়তে পারে। অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।
মন্তব্য করুন: