প্রকাশিত:
১৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৬:০৯
রেলপথ মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, রাজনৈতিক সন্ত্রাস ও নাশকতা নিরাপদ রেল চলাচলের জন্য হুমকি। রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে যোগাযোগ ব্যবস্থায় যে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়েছিল সেখানে একমাত্র রেল চলাচল স্বাভাবিক ছিল। এখন রেল যোগাযোগ ব্যবস্থায় পরিকল্পিতভাবে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালিত হচ্ছে।
মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে দেশের বিভিন্ন স্থানে রেলে নাশকতা বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, নাশকতা ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের মধ্যে দিয়ে নিরাপদ রেলযাত্রাকে অস্থিতিশীল করা হচ্ছে। গত ২৮ অক্টোবর বিএনপি ও তাদের সমমনা দলগুলো যে রাজনৈতিক কর্মসূচি দিয়েছিল এরপর থেকে রেল সম্পর্কিত সহিংসতা বাড়ছে। রেলকে সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের মধ্যে ফেলে হুমকি তৈরি করেছে- এটা গ্রহণযোগ্য নয়।
নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, যাত্রী হয়ে ট্রেনে উঠে নিরাপদ রেলে ঘটনা ঘটাচ্ছে।
বাসের বদলে ট্রেন এখন প্রধান হাতিয়ার করা হচ্ছে এবং পরিকল্পিত দূর্ঘটনা ঘটাতে ফিশপ্লেট খুলে দিচ্ছে।
মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) সকালে তেজগাঁওয়ে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসে আগুন দেওয়ার ঘটনা সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, বিমানবন্দর স্টেশন ছেড়ে তেজগাঁও এলে ট্রেনে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এতে তিনটি বগি পুড়ে গেছে। এখন পর্যন্ত ৪ জন মারা গেছেন।
সন্ত্রাসীরা এ ধরণের কর্মকাণ্ড করে যাতে রেল চলাচলে বিঘ্ন ঘটাতে না পারে সে জন্য রেলের নিরাপত্তা বাহিনী, পুলিশের সঙ্গে কথা হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন মন্ত্রী। বলেন, ‘রেলপথে নিরাপত্তার ব্যাপারে সহযোগিতা করতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। বৈঠকও হয়েছে।’
মন্ত্রী বলেন, রেলপথে সরাসরি আক্রমণের প্রথম ঘটনা ঘটে গত ১৬ নভেম্বর। টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেনের দুটি বগি ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এরপর ১৯ নভেম্বর জামালপুরের সরিষাবাড়িতে যমুনা এক্সপ্রেসে পরিকল্পিত নাশকতা করা হয়। এ দুই ঘটনায় কোনো প্রাণহানি না হলেও বড় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
এ ছাড়া, ২২ নভেম্বর সিলেটে উপবন এক্সপ্রেসে আগুন দেওয়া হয়। ১৩ ডিসেম্বর গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুরে রেললাইন কেটে ফেলা হয়; এতে ১ জন যাত্রী মারা যান, আহত হন ৫০ যাত্রী। মন্ত্রী বলেন, রাজনৈতিক কর্মসূচি দিতেই পারে কিন্তু সহিংসতা করে রেল চলাচল বন্ধ করা যাবে না।
মন্তব্য করুন: