সোমবার, ২৩শে ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ই পৌষ ১৪৩১ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল dailyvobnews@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • দেশকে কোনও দলের কাছে ইজারা দেয়া হয়নি
  • সাগরে নিম্নচাপ, দক্ষিণাঞ্চলে বৃষ্টি শুরু
  • ড. ইউনূস আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাষণ দেবেন আজ
  • ২৬ শতাংশ রেমিট্যান্স বেড়েছে হাসিনার পতনের পর
  • পঞ্চদশ সংশোধনীর বৈধতা প্রশ্নে রায় ঘোষণা চলছে
  • ৬ কমিশনের প্রধানদের নিয়ে হবে ‘জাতীয় ঐকমত্য গঠন কমিশন’
  • নৌবাহিনীর ৩২ কর্মকর্তা পেলেন অনারারী কমিশন
  • ১০ এসি বাস নিয়ে চালু হলো বিআরটি প্রকল্প
  • একাত্তরের পুনরাবৃত্তি আমরা জুলাইয়ে দেখেছি
  • বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে জনতার ঢল, ফুলেল শ্রদ্ধায় শহীদদের স্মরণ

গল্প

লজ্জা

মিস্টি জান্নাত

প্রকাশিত:
১৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৩:১৪

 
ছাদের চারপাশটা রাতে বারাবরই মিহির ভয় লাগে তবে আজ কিছুতেই তার ভয় লাগছে। আজ ছাদ থেকে লাফ দিতেও কষ্ট হচ্ছে না। মন চাচ্ছে সব কিছু ছেড়ে বহুদূর চলে যাই।পার্টিতে খাওয়ার সময় আরা আহান ভাইয়ার কাছে বসেছিল। ব্যাস আর খাওয়া হলো না মিহির। এই টুকুতেই এতো কষ্ট লাগছে। আর তো সময় পড়ে আছে। আহান ভাইয়ার বিয়ে হবে ফুলশয্যা হবে বাবু হবে,,,,, ন না আর ভাবতে পারছি না। মেয়েটা একটু কথা বলেছে তাই আমার সব শেষ হয়ে যাচ্ছে আর সেখানে ফুলশয্যা, বাচ্চা না এ আমি মেনে নিতে পারবো না। এগুলো ভেবেই খুব কান্না পাচ্ছে ও আল্লা উপর দেকে দড়ি পাঠাউ আমি উপরে চলে যেতে চাই।
আরে আপু এমোন মুখ করে চোখ বুজে কি ভাবছো।
তুই,,, এতো রাতে এখানে কি করিস......
আজ না আগান ভাইয়াকে সেই লাগছিলো,,, মন চাচ্ছিলো বলি বাবু খাইছো নাকি আমি খাওয়াই দিবো।
উহু আমি বাচি না আমার জ্বালায় আর এই মেয়েটা আছে ওর উল্টো পাল্টা চিন্তা ভাবনা নিয়ে।
এই কি সব ফালতু কথা বলছিস,, মাথা ঠিক আছে।
হুম আছে তবে ভাইয়ার বিয়ে ঠিক হয়ে গেলো এটা মেনে নিতে কষ্ট লাগছে। তাই ঠিক করছি নতুন ভারাটিয়া ছেলেটার সাথেই এবার লাইন মারবো ও তো আমার ক্রাশ। জানো আপু ওর জন্য একটা কবিতা লিখছি।
এই বাচাল টার কথা গুলো একটুও ভালো লাগছে না,, তবুও কিছু বলতেও পারবো না,,, কিছু বললে মা এসে আমাকেই বকবে,,,,,,, সবার ইনোসেন্ট গার্লস অর্পা যে। বাল ভালোলাগে না।
ও আওু শোনো না......
হুম বল....
তোমায় খুজি রোজ আমি,,,
কাচামরিচ ওগো তুমি....
মেঘের পিঠে ভেসে ভেসে
নদিতে পড়ি রোজ
পাবো কি তোমার মুন্ডুর খোজ....
কি হলো আপু কাশতেছো কেনো।
চুপ কর কি সব লিখছিস ওগুলা..... তুই কি ওই ছেলেটাকে এই লেখা গুলো দিবি নাকি।
হুম। কালই দিবো।
লাস্টে কি লিখছিস ওটা মুন্ডু মানে কি জানিস ছাগোল কেথাকার....
না আপু মন চাইলো তাই দিলাম...
ওই সেভেন এ পড়িস মুন্ডু মানে জানিস না। মাথা বুঝলি ছাগল মাথা। এবার পড়ে দেখ কি লিখছিস।আর কেউ কারো কাচা মরিচ হয় নাকি। গাধা।
ও আপু আমি তো মিলানোর জন্য লিখছি।
এই যা পারিস কর। আমি যাই ঘুমাবো। বলেই চলে আসলাম কারন এই প্রেম পাগলের সাথে বকবক করতে একটুও মন চাচ্ছে না।
-----------------------------------------
ভেবনা তুমি হয়েছো বহিস্কৃত । আমার গল্পে তুমি চিরকাল স্বীকৃত। তোমার চোখে আমি দেখেছি মেঘের ঘনঘটা। কষ্ট পেওয়া তোমাকেই আমি চাই আর তোমাকে আমি আমার করেই ছাড়বো ঘুমিয়ে পড়ো মেহু পাখি।
অর্পার সাথে কথা বলে রুমে এসে দেখি বেডের ওপর এই কাগজ টা ভাজ করা।আজব এই চিঠি বাজ কি করে জানলো আমার মন খারাপ। এটা কোনো ভাবে আহান ভাইয়া না তো। কিন্তু উনার তো বিয়ে। এটার কি হবে। এমনিতে ঘুম আসছে না। আর এই চিঠি টা পাওয়ার পর ঘুম তো হারিয়ে গেলো। ভালো লাগে না।
এদিকে,,,,,,
কি জানি মিহু কি ঘুমিয়ে পড়ছে নাকি জেগে আছে। হয়তো জেগে আছে।
এর ই মাঝে আহানের ফোনটা ভীষ জোরে বেজে উঠে।
তাকিয়ে দেখে অচেনা নাম্বার।
হ্যালো...
হাই,,, কি করো ঘুমাউনি,,, হবু বউয়ের কথা ভাবছো বুঝি।
চিনলাম না কে ইউ
এতো তাড়াতাড়ি ভুলে গেলে। আরা বলছি।
ওও
ও কি,,,, আমি নিজে তোমাকে কল করলাম আর তুমি ওও বলছো। অনেক সুইট আর ইনোসেন্ট তুমি।
এই মেয়েটার কি লজ্জা নাই নিজেই ফোন করেছে। কথা বলতে একটুও মন চাচ্ছে না। ) আচ্ছা আমার নাম্বার কই পাইছো।
এটা কোনো প্রশ্ন হলো। হবু বউ এর সাথে কথা বলছো তুমি বুঝলা।
এদিকে........
আজ আহান ভাইয়াকে বলবো আমার মনের কথা। বলেই ছাড়বো। আমার খুব কষ্ট হচ্ছে। নাম্বার ডায়েল করি।
কি হলো ব্যাস্ত বললো কেনো এতো রাতে ভাইয়া কার সাথে কথা বলছে। ওই আরার সাথে না তো। এবার মনে হচ্ছে আমার কলিজাটা ছিড়ে যাবে।
------------------------
উপপ এই মেয়েটা এতো বকবক করতে পারে। কি আর বলবো। কে ফোন করেছিলো এর মাঝে আবার। নাম্বার টা দেখে মিহির কল। ও সিট মিহি কল দিছিলো আর ব্যাস্ত পাইছে না এটা হতে পারে না।
কি হলো মিহু ফোন ধরছে না কেনো। ভালো লাগে না।ওকি ভুল বুঝলো। এটা কি করলাম আমি আরার সাথে কেনো কথা বললাম।
----------------------
এই মেয়েটা পারেও বটে ঘুমিয়ে পড়েছে আর শুধু শুধু আমাকে ওর বাড়ি পর্যন্ত নিয়ে গেলো এতো রাতে। যাক ভালো লাগছে কোনো বিপদ হয়নি।
------------------------------------
আজ পাচ পাচটা দিন হয়ে গেছে রুম থেকে বের হচ্ছি না। কেউ তেমন খবরও নিচ্ছে না,,, সবাই ভাইয়ার বিয়ে নিয়ে ব্যাস্ত। সেদিন রাতে কতবার কল দিলো ভাইয়া ধরিনি।তুলির গল্প নিবাস.. আমার গ্রুপ এ এডড হবেন,,, এডড না হলে আর পরের পার্ট পাবেন না। হয়তো ধরা উচিৎ ছিলো। আর ধরে কিওবা বলতাম। ভাইয়াতো ওই আরাকে বিয়ে করতে রাজি। আর এই পাচদিন ভাইয়াও আসেনি। একটাবার খোজ ও নেয়নি। ।
কং কং কং
পাশে তাকিয়ে দেখি মৌ কল দিয়েছে।
অনিচ্ছা সত্ত্বেও ধরলাম..... হ্যালো
হ্যালো কি,,, তুই কই এ কদিন ফোন ধরিসনি কেনো।
এমনি
কি হয়েছে তোর। মন খারাপ কেনো।
ফোনে বলা যাবে না,,
তাহলে কলেজ এ আয়।
না রে ভালো লাগছে না।
তুই আসচিস অতো কিছু জানি না।
------------------------------------
তার মানে আর মাএ ১০ দিন পর আহান ভাইয়ার বিয়ে।
হুম।
আহান ভাইয়া রাজি।
হুম।
(এটা কি করে হয়। আহান ভাইয়াতো মিহিকে ভালোবাসে। তাহলে,,, হয়তো কোনো ঝামেলা আছে। )
এবার কি করবি।
জানি না।
মিহি চলতো...
পেছন ফিরে দেখে আহান ভাইয়া মুখ কালো করে দাড়িয়ে আছে। ওনার মুখ দেখে বুকের ভেতর ছ্যাত করে উঠলো।
কোথায় ভাইয়া।
তুমি ও আলো মৌ। আসলে আমি এ বিয়েটা করবো না।
কি। কথাটা শুনে মনে মনে খুব খুশি হলাম।
হুম। আমি একজন ভালোবাসি তাকেই বিয়ে করবো। বাড়িতে পরে জানাবো। তোরা দুজন বিয়েতে সাক্ষী হবি আর কোনো প্রশ্ন করিস না চল।
কথাটা শুনে মৌয়োর বড় বড় চোখ গুলো পুরো রসগোল্লা করে ফেললো তার মুখ দেকে বোঝা যাচ্ছে সে খুব সক্ট খেয়েছে।
আর মিহির মনে এতো সময় লাড্ডু ফুটছিলো কিন্তু কথাটা শুনে তার মনের লাড্ডু গুলো হাওয়ায় মিলিয়ে গিয়েছে।
 
ভাইয়া আসলে তুই তো কখনও বলিসনি তোর গার্লফ্রেন্ড আছে। এটুক কথা বলতেই মিহির গলা আটকে আসছে। খুব কষ্ট লাগছে। মনে হচ্ছে বুকটা ফাকা ফাকা লাগছে।
মিহির কথায় আহান মিহির দিকে সরু চোখে তাকালো কিন্তু কোনো উওর দিলো না।
আর কোনো কথা বলার সাহস ও হলো না মিহির। এদিকে মাথায় বহুত চিন্তা নিয়ে বসে আছে মৌ।
ওদের নিরবতার মাঝেই আহানের কিছু বন্ধু এসে হাজির হলো হাতে অনেক গুলো ব্যাগ। আর মিহি উকি ঝুকি দিচ্ছে কোনো মেয়েকে দেখা যায় কিনা তাদের সাথে।
তাদের দেখে আহান এগিয়ে গিয়ে কি যেনো ফিসফিস করছিলো।
উহুম আল্লাহ তুমি কখনো আমার সহায় হওনা কেনো,,, এটা কি করলা,,, আমি যাকে মন প্রান দিয়ে ভালবাসলাম তার বিয়েতে সাক্ষি হতে হবে। এই চাপটা একটু বেশি হয়ে যাচ্ছে না আমার জন্য।
আহানের ডাকে মিহির হুস ফেরে।
এই নাও এটাতে একটা শাড়ি আর কিছু জিনিস আছে মিহিকে সাজিয়ে নিয়ে এসো।
এমন কথা শুনে মৌ হা হয়ে গেলো। তার মানে আজ মিহি আর ভাইয়ার বিয়ে ওওও সো সুইট।
কথাটা শুনে মিহির চোখ দুটো যেনো বের হয়ে আসতে লাগলো ও মাই গড এটা কি হচ্ছে। কি বললো
মিহিকে কোনো কথা বলতে না দিয়ে মৌএর সাথে পাশের রুমে পাঠিয়ে দিলো।
দেখেছো নিজে বিয়ে করবে বলে তার বউকে আমি সাজাবো আর আগেও কত হেল্প করেছি ভাইয়ার কিন্তু আমাকে একটা আটানার আকলেটও খাওয়ায়নি। বিড় বিড় করে বললো মৌ।
হটাৎ আহান মৌকে ডাক দিয়ে বললো এই নাও এটাতে তোর জন্য ও জামা আছে।
জামার প্যাগেটটা পেয়ে মৌএর মন ভালো হয়ে গেলো। যাক বাবা আমার কথা মনে আছে তাহলে।
-----------------------------------
মিহি কিছু বুঝে উঠতে পারছে না। কি থেকে কি হয়ে গেলো। বাবা মাকে না জানিয়ে সে বিয়ে করেফেলেছে। বাড়ি গেলে কি হবে আল্লাই যানে।
আজ মিহিকে বউ সেজে খুব সুন্দর লাগছে চোখ সরাতেই মন চাচ্ছে না তার।
আহান কে ও সুন্দর লাগছে কিন্তু আহানের দিকে তাকাতে খুব লজ্জা লাগছে আজ মিহির।
কিরে বসে থাকবি নাকি শশ্বর বাড়ি যাবি।
আপননি।
তো কে থাকবে হুম।
না মানে আসলে।
কি সব বলছিস। চল বাড়ি যাবো। যা হবার হবে।
*********
না কি হলো ডাইরিতে আর কিছু নেই কেনো। ধ্যাত ভালো লাগে না। মা তো ডায়রিটা পড়তেই দেয়না কখনো মা চলে আসলে ঝামেলা হবে। তার মানে এটা মা আর বাবার লাভস্টোরি।
আহানা... কি করছিস তুই
মায়ের ডাকে পেছন ফিরে তাকাতেই দেখে তার মা খুব শক্ত মুখে দাড়িয়ে আছে। কি করবে বুঝতে না পেরে সুধু বললো মা আমার বাবা কোথায়। আমি বাবার কাছে যাবো।
মিহি বুঝতে পারে আহানা ডায়রিটা পড়েছে। তাই রাগি সুরে বললো তুমি আপাততো তোমার রুমে যাও।
আহানা আর কথা বাড়ালো না চলে গেলো। ছোট থেকে কখনও ও ওর মাকে হাসতে দেখেনি। তবে ডায়রির ওই কিশোরী মিহি খুব হাসি খুশি একটা মেয়েছিলো। কিন্তু এখন তার মা এমন কেনো হয়ে গিয়েছে আর তার বাবাও বা কোথায়।
-------------------
আহানা চলে যাওয়ার পর সেই ১৫ বছর আগের সৃতি টা মনে পড়ে গেলো ডায়রিটা দেখে।
----------------
আহান সোজা তাকে আহানদের বাড়ি নিয়ে যায়।সবাই জানা জানির পর মিহির বাড়ির লোক ও আসে। অনেক ঝামেলা হয়। এমন কি ডিভোর্স দেওয়ার কথাও ওঠে কিন্তু আহান কখনই রাজি হয়নি। এক পর্যায়ে তাদের সবাই মেনে নেয়। খুব ভালো চলছিলো টুনা টুনির সংসার। ২ বছর ধরে আহান আর মিহির খুব ভালো সংসার চলতে থাকে। মিহি কখনো কল্পনাও করতে পারেনি আহান তাকে এতো ভালোবাসে। মাঝে মাঝে আবার নাক ফুলিয়ে বসে থাকতো এটা ভেবে যে আহান তাকে কেনো বলেনি। আগে বললে রিয়ের আগে প্রেম করতে পারতো।
মাঝে মাঝে অর্পা ও আসতো তাদের বাসায়। তবে অর্পার উল্টা পাল্টা গল্প শুনে বেশ মজা নিতো আহান আর মিহি। কিন্তু মাঝে মাঝে আহানের ভীষণ মাথা ব্যাথা করতো কখনো কখনো সেন্সলেস ও হয়ে যেতো। তবে এতো সুখের কারোনে কখন ও এ বিষয়ে গুরুত্ব দেয়নি তারা কেউ। এর মাঝে মিহি মা হওয়ার সুখবর পায়। আহান তো খুশিতে আত্নহারা হয়ে যায়। দেখতে দেখতে মিহির ডেলেবারির সময় ও চলে আসে। আহান বেবি হওয়ার আগেই বেবির জন্য ছোট ছোট কাপড় খেলনা কিনে আনে। আর বলে জানো মিহি আমার খুব মন চায় ছোট চোট হাত দিয়ে কেউ আমাকে জড়িয়ে ধরবে কখনো আদর দিবে আদো আদো কথায় আব্বগ বলবে। খুব মন চাচ্ছে বেবিটাকে দেখতে। ওকে ছুয়েদিতে। আফসোস মিহির ডেলিভারির দিন সকালে মিজিকে হসপিটালে নিয়ে যাওয়ার পর আহানের হটাৎ করে মাথা ব্যাথা শুরু হয় আর তা থামতেই চাচ্ছিলো না এদিকে মিহিকে ওটিতেও নিয়ে যাওয়ার সময় হয়ে যায়। মিহি কে নেওয়ার সময় ওর খুবকান্না পাচ্ছিলো ও যদি আর না বাচে যদি আহানকে আর দেখতে না পারে কতো শুনেছে বাচ্চা হওয়ার সময় মা রা মরে যায়। একটা বার ভালোবাসার মানুষের সাথে দেখাও করতে পারলো না।
তবে হ্যা ভাগ্য মিহি আর তার বাচ্চাাকে ফিয়েছিলো সুস্থ ভাবে তবে কেড়ে নিয়েছিলো আহান কে। মিহিকে অটিতে নেওয়ার পর আহান সেন্স লেস হয়ে যায়। ওখানে ভর্তি করার পর জানতে পারে আহান মারা গেছে ওর ব্রেনে খুব বড় একটা টিউমার ধরা পড়ে। এতো দিন এর মাথা ব্যাথা আর সেন্সলেস হয়ে যাওয়াটা সবাই দার্বলতা ভেবে খেয়াল করেনি।
------------------
সেই পুরোনো কথা ভেবে মিহির আজ সব শেষ করে দিতে ইচ্ছে করছে। একটা মেয়ে যানে তার সন্তান যেদিন জন্ম নিয়েছে সেদিন স্বামী কে হারানো কতোটা কষ্টের। সে দিনই মিহির আর বাচার সখ ছিলো না শুধু আহানার দিক তাকিয়ে বেচে আছে। উপর ওলা তাকে অনেক কষ্ট দিয়েছে। এসব ভাবতে ভাবতে মিহি আর একটা ডায়রি বের করলো সেটা ছিলো আহানের। আহানকে পাওয়ার পর মিহি সেই চিঠি বাজ টার কথা ভুলেই গেছিলো। আহান মারা যাওয়ার পর মিহি আহানের ডায়রিটা খুজে পায় এবং তার ভেতরে মিহিকে নিয়ে লেখা অনেক অনুভুতি ও পায় যে গুলো তার পাওয়া চিঠি গলোর মতো লেখা যা আহান বাম হাত দিয়ে লিখেছে। মাঝে মাঝে মনে হয় মিহির থেকে আহানই ওকে বেশি ভালোবাসে। কিন্তু ওই যে আমাদের ভালোবাসা তো "কেয়া পাতার নৌকো" এর মতো। যা কখনও সম্ভব না। তাই তো আমারা যতই মেলার চেষ্টা করি না কেনো মিল কখনওই হওয়ার ছিলো না। এখন আমার এই চিঠি গুলোই সব কিছু যা পড়ে মনটা ভালো হয়ে যায়।

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর