শুক্রবার, ১০ই জানুয়ারী ২০২৫, ২৭শে পৌষ ১৪৩১ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল dailyvobnews@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • বিডিআর বিদ্রোহ মামলার পরবর্তী শুনানি ১৯ জানুয়ারি
  • বাংলাদেশে অস্ত্র বিক্রি করতে আগ্রহী তুরস্ক
  • টিসিবির পণ্য মিলবে স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ডে
  • ১৫২ কর্মকর্তাকে বেতনের টাকা ফেরত দিতে বলল ইসি
  • শেখ হাসিনাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
  • আগামী নির্বাচনে ভিন্নরূপে দেখা যাবে আনসার-ভিডিপিকে
  • প্রবাসীদের এনআইডির সার্ভিস চার্জ পর্যালোচনা করবে ইসি
  • নতুন ভোটার ১৮ লাখ ৩৩ হাজার, মোট ১২ কোটি ৩৬ লাখের বেশি
  • বছরের প্রথম দিনে ঢাকার বাতাস ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’
  • অতিরিক্ত সচিব হলেন ১২ কর্মকর্তা

চট্টগ্রামের ৯ আসন

স্বতন্ত্রের সঙ্গে লড়াইয়ে আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

প্রকাশিত:
১৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৬:০০

চট্টগ্রামের ১৬টি সংসদীয় আসনের মধ্যে ৯টিতে একাধিক স্বতন্ত্র প্রার্থী। এই প্রার্থীদের সবাই আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পদে থাকা নেতা-সমর্থক। একজন বাদে এই প্রথম স্বতন্ত্র হিসেবে ভোটের মাঠে তাঁরা। স্বতন্ত্র প্রার্থীরা কাউকে ছাড় দিতে নারাজ।

আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থীরাও প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য মুখিয়ে আছেন। কয়েকটি আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হয়। তবে নির্বাচন কমিশনে আপিল শুনানিতে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা তাঁদের প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ায় ভোটের জমজমাট লড়াইয়ের আভাস দিয়েছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।

চট্টগ্রামের ১৬টি আসনের মধ্যে চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড-নগর আংশিক), চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া-বোয়ালখালী আংশিক), চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালি-বাকলিয়া), চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা) আসনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রার্থী থাকলেও স্বতন্ত্র প্রার্থী নেই।

চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনে একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী থাকলেও নেতাদের মতে ভোটের লড়াইয়ে বড় কোনো প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা কম। চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী) আসনে দুজন স্বতন্ত্র প্রার্থী থাকলেও মনোনয়নপত্র বাছাইয়ে তাঁদের প্রার্থিতা বাতিল হয়েছে। তবে দুজনেই নির্বাচন কমিশনে প্রার্থিতা ফিরে পেতে আপিল করেছেন।

চট্টগ্রাম-১ (মিরসরাই)
এ আসনে সাতবারের সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এবার নির্বাচন করছেন না।

নৌকার প্রার্থী হয়েছেন তাঁর ছেলে উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মাহবুব উর রহমান। তাঁর সঙ্গে ভোটের লড়াই হতে পারে একই কমিটির সদস্য ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিনের। আসনটিতে আরো ছয়টি দলের প্রার্থী আছেন।
জানতে চাইলে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মাহবুব উর রহমান মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বলেন, ‘এখানে নৌকার বিজয় কেউ ঠেকাতে পারবে না। দল ও সাধারণ মানুষের কাছে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কোনো গ্রহণযোগ্যতা নেই।

’ গিয়াস উদ্দিন বলেন, ‘নৌকার সঙ্গেই আমার মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। সুষ্ঠু ভোট হলে আমি বিজয়ী হব।’

চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি)
আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমানে সংরক্ষিত নারী আসনে দলীয় সংসদ সদস্য খাদিজাতুল আনোয়ার। এখানে ১০ প্রার্থীর মধ্যে স্বতন্ত্র রয়েছেন দুজন। এর মধ্যে সদ্য উপজেলা চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা হোসাইন মো. আবু তৈয়বের সঙ্গেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে পারে নৌকার প্রার্থীর। আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী মোহাম্মদ শাহজাহান। এখানে ত্রিমুখী লড়াইয়েরও সম্ভাবনা আছে।

চট্টগ্রাম-৩ (সন্দ্বীপ)
আসনটিতে আটজন প্রার্থীর মধ্যে একজন স্বতন্ত্র। আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য মাহফুজুর রহমানের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে পারে স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামীপন্থী চিকিৎসকদের সংগঠন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা মো. জামাল উদ্দিন চৌধুরীর।

চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী-নগর আংশিক)
বর্তমান সংসদ সদস্য চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ। বর্তমানে ৯ জন প্রার্থীর মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী মহানগর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ আবদুচ ছালাম। তিনি সিডিএর সাবেক চেয়ারম্যান। দলীয় প্রার্থীর সঙ্গে মূলত স্বতন্ত্র প্রার্থী ছালামের তুমুল লড়াই হবে বলে নেতাকর্মীরা আভাস দিয়েছেন।

চট্টগ্রাম-১০ (ডবলমুরিং-পাহাড়তলী)
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন চসিকের সাবেক মেয়র মোহাম্মদ মনজুর আলম। এই আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী সংসদ সদস্য মো. মহিউদ্দিন বাচ্চু। অন্য ছয়জন প্রার্থী থাকলেও মূলত তাঁদের দুজনের মধ্যে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস মিলছে।

জানতে চাইলে মহিউদ্দিন বাচ্চু  বলেন, ব্যক্তি দলের বিজয় ঠেকাতে পারবে না। উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রার ধারাবাহিকতায় ভোটাররা নৌকাকেই বেছে নেবে।

মনজুর আলম বলেন, ‘জনপ্রতিনিধি হিসেবে প্রায় দুই যুগ জনগণের সেবা করেছি। এলাকায় অনেক উন্নয়নমূলক কাজ করেছি। যেখানে যাচ্ছি সেখানে মানুষের সাড়া পাচ্ছি।’

চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর-পতেঙ্গা)
আটজন প্রার্থীর মধ্যে স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচন করছেন চসিকের দুইবারের কাউন্সিলর ও ৩৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল হক সুমন। এই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী টানা তিনবারের সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফ। তিনি মহানগর আওয়ামী লীগের নির্বাহী সদস্য। জিয়াউল হক সুমন বলেন, ‘দলের প্রায় নেতাকর্মী আমার সঙ্গে রয়েছে। এলাকাবাসী পরিবর্তন চাচ্ছে।’

চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ)
আওয়ামী লীগের প্রার্থী সংসদ সদস্য মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরীর সঙ্গে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে স্বতন্ত্র প্রার্থী তিনবারের উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল জব্বার চৌধুরীর। জব্বার আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটির সদস্য। তিনি  বলেন, ‘নৌকার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। আমার বিজয় কেউ ঠেকাতে পারবে না।’

চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া)
আপিলে মনোনয়ন ফেরত পেয়ে নির্বাচনে ফিরেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সদ্য উপজেলা চেয়ারম্যানের পদে ইস্তফা দেওয়া আব্দুল মোতালেব। এখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী দুইবারের সংসদ সদস্য আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন। সাতজন প্রার্থীর মধ্যে একমাত্র স্বতন্ত্র এই প্রার্থীর সঙ্গে নৌকার ভোটের লড়াই হতে পারে।

আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন বলেন, ‘স্বতন্ত্র প্রার্থী ভোটে কোনো প্রভাব ফেলতে পারবেন না। নৌকার বিজয়ে কেউ বাধা হতে পারবে না।’ আব্দুল মোতালেব বলেন, নৌকার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। সুষ্ঠু ভোট হলে তিনি (এমপি) ২০ শতাংশ ভোটও পাবেন না।

চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী)
১০ জন প্রার্থীর মধ্যে চারজনই স্বতন্ত্র। এখানে আওয়ামী লীগ প্রার্থী সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী। তাঁর সঙ্গে স্বতন্ত্র একাধিক প্রার্থীর মধ্যে ভোটের লড়াইয়ের আভাস পাওয়া গেছে।

 


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর