শুক্রবার, ১০ই জানুয়ারী ২০২৫, ২৭শে পৌষ ১৪৩১ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল dailyvobnews@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • বিডিআর বিদ্রোহ মামলার পরবর্তী শুনানি ১৯ জানুয়ারি
  • বাংলাদেশে অস্ত্র বিক্রি করতে আগ্রহী তুরস্ক
  • টিসিবির পণ্য মিলবে স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ডে
  • ১৫২ কর্মকর্তাকে বেতনের টাকা ফেরত দিতে বলল ইসি
  • শেখ হাসিনাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
  • আগামী নির্বাচনে ভিন্নরূপে দেখা যাবে আনসার-ভিডিপিকে
  • প্রবাসীদের এনআইডির সার্ভিস চার্জ পর্যালোচনা করবে ইসি
  • নতুন ভোটার ১৮ লাখ ৩৩ হাজার, মোট ১২ কোটি ৩৬ লাখের বেশি
  • বছরের প্রথম দিনে ঢাকার বাতাস ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’
  • অতিরিক্ত সচিব হলেন ১২ কর্মকর্তা

২০৩০ সালের মধ্যে দেশকে কুষ্ঠমুক্ত করার অঙ্গীকার প্রধানমন্ত্রীর

স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত:
১২ নভেম্বর ২০২৩, ১৬:০৯

২০৩০ সালের মধ্যে দেশ থেকে কুষ্ঠরোগ নির্মূল করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একইসঙ্গে তিনি স্থানীয় ওষুধ প্রস্তুতকারক কারখানাগুলোকে কুষ্ঠরোগের উন্নত ওষুধ তৈরির আহ্বান জানান।


রোববার (১২ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘দ্বিতীয় জাতীয় লেপ্রোসি (কুষ্ঠরোগ) সম্মেলন’ ২০২৩ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।

শেখ হাসিনা বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে কুষ্ঠরোগ নির্মূলে আমরা দৃঢ় অঙ্গীকার করছি।

তিনি বলেন, ‘অ্যাপ্রোচ টু জিরো লেপ্রোসি বাই ২০৩০’ এ লক্ষ্য অর্জনের জন্য তহবিল বাড়ানোসহ আরও সব রকম সহযোগিতা বাড়াতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আহ্বান জানাচ্ছি।

দেশে উন্নতমানের যে ওষুধ কোম্পানি রয়েছে তাদের কুষ্ঠরোগের ওষুধ উৎপাদনেরও আহ্বান জানান সরকারপ্রধান।

সরকার কুষ্ঠ নির্মূল কার্যক্রমকে আরও শক্তিশালী করার উদ্যোগ নিয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতিরোধ করাটাই সব থেকে বেশি দরকার। কী কারণে হচ্ছে এবং এটা যেন আর না হয় সেদিকেই আমাদের বিশেষভাবে দৃষ্টি দেওয়া দরকার।

তিনি বলেন, কুষ্ঠরোগ শূন্যে নামিয়ে আনার জন্য একটি ‘ন্যাশনাল স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যান ফর লেপ্রোসি ইন বাংলাদেশ ২০২২-২০৩০’ আমরা প্রণয়ন করেছি এবং যথাযথভাবে বাস্তবায়নের পদক্ষেপ নিয়েছি।

কুষ্ঠরোগীদের দূরে সরিয়ে রাখার জন্য যে আইন করেছিল ব্রিটিশ সরকার ‘দ্য লেপারস অ্যাক্ট ১৮৯৮’ তার সরকার তা রোহিত করেছে বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, কাজেই এখন আর কেউ কুষ্ঠরোগীদের তাদের ন্যায্য অধিকার বঞ্চিত করতে পারবে না। পরিবার থেকে শুরু করে আশপাশের কেউ তাদের ঘৃণার চোখে দেখতে পারবে না।

সবাইকে কুষ্ঠরোগীদের প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়ার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, কুষ্ঠরোগীদের সহানুভূতি ও সেবা যেমন দরকার তেমন তাদের পাশেও থাকা দরকার। তাদের মনবল সৃষ্টি করা দরকার। আমি আশা করি, সবাই সেটাই করবেন।

তিনি বলেন, এটা ছোঁয়াচে রোগ বলে ওই পুরোনো ভ্রান্ত ধারণা একসময় যেটা ছিল সেটা থেকে সবাইকে বেরিয়ে আসতে হবে। আমি আনন্দিত এখন অনেকেই বেরিয়ে এসেছে এবং এর থেকে বের হতে হবে।

এসময় সব চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীসহ দেশের সব নাগরিকদের কুষ্ঠরোগীদের অবহেলা না করে তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল ও যত্নবান হওয়ার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণবিষয়ক মন্ত্রী জাহিদ মালেক অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন কুষ্ঠ নির্মূলের জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার শুভেচ্ছা দূত ও জাপানের নিপ্পন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ইয়োহেই সাসাকাওয়া।

এতে স্বাগত বক্তব্য দেন স্বাস্থ্য বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর