সোমবার, ৬ই জানুয়ারী ২০২৫, ২৩শে পৌষ ১৪৩১ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল dailyvobnews@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • শেখ হাসিনাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
  • আগামী নির্বাচনে ভিন্নরূপে দেখা যাবে আনসার-ভিডিপিকে
  • প্রবাসীদের এনআইডির সার্ভিস চার্জ পর্যালোচনা করবে ইসি
  • নতুন ভোটার ১৮ লাখ ৩৩ হাজার, মোট ১২ কোটি ৩৬ লাখের বেশি
  • বছরের প্রথম দিনে ঢাকার বাতাস ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’
  • অতিরিক্ত সচিব হলেন ১২ কর্মকর্তা
  • থার্টি ফার্স্টে আতশবাজি ফোটানো বন্ধ চেয়ে হাইকোর্টে রিট
  • প্রস্তুত হচ্ছে দ্বিতীয় ট্রাইব্যুনাল
  • খুলেছে সচিবালয়, ক্ষতিগ্রস্ত মন্ত্রণালয়ের কাজ অন্য জায়গায়
  • সচিবালয়ে সাংবাদিক প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা সাময়িক

সিসিক মেয়র

দুর্যোগ মোকাবিলার উদ্যোগগুলো থমকে আছে

সিলেট প্রতিনিধি

প্রকাশিত:
৫ অক্টোবর ২০২৩, ১৭:২৭

ভূমিকম্পসহ যেকোনো দুর্যোগ মোকাবিলায় সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রস্তুতি রয়েছে। তবে ঘন বসতিপূর্ণ সিলেট মহানগরে বড় ধরনের ভূমিকম্প হলে উদ্ধার কাজ ও প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়ার যন্ত্রপাতির সংকট রয়েছে বলে জানিয়েছেন সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।

বৃহস্পতিবার (০৫ অক্টোবর) সকাল ১১টায় সিসিকের সভাকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।

মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, সিলেটে ইদানীং ঘন ঘন ভূমিকম্প অনুভূত হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে দুর্যোগ মোকাবিলার প্রস্তুতির অংশ হিসেবে নগরে চারটি খেলার মাঠ বা খালি স্থান তৈরির পরিকল্পনা নেয় সিসিক। কিন্তু সরকার ৩০ শতাংশ নিজস্ব অর্থ সংকুলানের শর্তে দুইটি মাঠ প্রস্তুতের অনুমোদন দিলেও এখনও অর্থ বরাদ্দ না দেওয়ায় প্রকল্প বাস্তবায়ন করা যাচ্ছে না।

তিনি বলেন, সিলেট নগরের ভূ-গর্ভস্থ পানির স্তর দিন দিন নিচে নেমে যাচ্ছে। নগরবাসীর প্রতিদিনের আট কোটি লিটার পানির চাহিদা পূরণে দুইটি সার্ফেস ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টের পাশাপাশি গভীর উৎপাদক নলকূপের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে। যদিও ভূ-গর্ভস্থ পানি উত্তোলনের ফলে ভূমিকম্প ঝুঁকি বাড়ে বলে বিশেষজ্ঞদের মত রয়েছে। সেজন্য চেঙ্গের খাল নদীর পানি সংগ্রহ করে ৫০ এমএলডি উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন একটি সার্ফেস ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট তৈরির পরিকল্পনা হাতে নেয় সিসিক। কিন্তু দীর্ঘ দিন হলেও সরকারের অর্থ বরাদ্দ না পাওয়া এর নির্মাণ কাজও থমকে আছে।

সিসিক মেয়র বলেন, বর্ধিত সিটি করপোরেশন এলাকাসহ সিসিকের উন্নয়নে চার হাজার ৫০০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প সরকারের কাছে প্রস্তাব করা হলে সেই প্রকল্প এক হাজার ২০০ কোটি টাকায় নামিয়ে অনুমোদন হয়েছে। কিন্তু এখনও অর্থ বরাদ্দ পাওয়া যায়নি।

সিলেট মহানগরে ২৩টি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ভাঙ্গার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, উচ্চ আদালতের মামলাজনিত কারণে সিসিকের মালিকানাধীন ঝুঁকিপূর্ণ তালিকার সিটি সুপার মার্কেটই ভাঙ্গা যায়নি। একইভাবে বেশিরভাগ ভবন মালিক ও ব্যবসায়ীদের করা উচ্চ আদালতে মামলা এবং মালিকদের ভবনের সক্ষমতা বাড়ানো আবেদনের প্রেক্ষিতে ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সিসিকের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আলী আকবরসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও শাখার কর্মকর্তারা, সিলেট প্রেসক্লাব, সিলেট জেলা প্রেসক্লাব, ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন-ইমজা, সিলেট বিভাগীয় ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন, সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবের সদস্য ও সিলেটের কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট, ইলেক্ট্রনিক, অনলাইন গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর