বুধবার, ১২ই মার্চ ২০২৫, ২৮শে ফাল্গুন ১৪৩১ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল dailyvobnews@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • শেখ হাসিনা-জয়-রেহানার ১২৪টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ
  • দেশে যুদ্ধ পরিস্থিতি চলছে, ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিরোধ গড়তে হবে
  • আইনশৃঙ্খলার অবনতি যারা ঘটাচ্ছে, কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না
  • ১৫ দিনের মধ্যে তদন্ত, ৯০ দিনে ধর্ষণের বিচার করতে হবে
  • পতিত স্বৈরাচার নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করছে
  • ঈদযাত্রায় নৌপথে অতিরিক্ত ভাড়া ও যাত্রীবহন করলে কঠোর ব্যবস্থা
  • প্রধান উপদেষ্টার আরও দুই বিশেষ সহকারী নিয়োগ
  • হাসিনা, তার পরিবারের সদস্য ও সকল সহযোগীর বিচার হবে
  • ইসির অধীনে এনআইডি সেবা না রাখার প্রস্তাব
  • আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে নানা প্রশ্ন, যে জবাব দিলেন ড. ইউনূস

সিইসি

অবাধ-নিরপেক্ষ নির্বাচনের চ্যালেঞ্জ নিতে চাই

স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত:
১ অক্টোবর ২০২৩, ১৩:১৪

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, নির্বাচনে যে সংকট রয়েছে সেটা আস্থার সংকট। অবাধ ও নিরপেক্ষ এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের (সংসদ নির্বাচন) চ্যালেঞ্জ নিতে চাই।

রোববার (০১ অক্টোবর) নির্বাচিত প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে আয়োজিত এক প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

দুই দিনব্যাপী এ কর্মশালায় অংশ নেন ৫০ জন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও ৫০ জন নির্বাচন কর্মকর্তা।

কর্মশালায় সিইসি বলেন, আমরা আগামীতে যে নির্বাচন করতে যাবো সেখানে যেন আস্থার সংকট না থাকে। আমরা যারা নির্বাচন পরিচালনা করবো, নির্বাচন কর্মকর্তা থেকে শুরু করে আপনারা যারা আছেন আরপিও অনুযায়ী দায়িত্বটা ভালোভাবে নেবেন। যে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে সেই বক্তব্যগুলো মনোনিবেশ সহকারে শ্রবণ ও বোঝার চেষ্টা করবেন। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার সঙ্গে আলাপ আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবেন। কোনো প্রশ্নের উদ্রেগ হলে কথা বলে নিশ্চিত হয়ে নেবেন। দায়িত্বটা কঠোরভাবে প্রতিপালন করতে হবে। ইসি থেকেও কঠোরভাবে পর্যবেক্ষণ করবো। জানার চেষ্টা করবো কে কোথায় কী দায়িত্ব পালন করছেন। আমরা সে তথ্য সংগ্রহ করার চেষ্টা করবো।

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, বাংলাদেশ একটি প্রজাতন্ত্র। প্রজাতন্ত্র অর্থ প্রজারা তাদের প্রতিনিধির মাধ্যমে শাসন করেন। এই জিনিসটা একটু মাথায় রাখবেন। নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন তর্ক ও বিতর্ক হতে পারে। অতীতেও যে হয়নি তা নয়। অতীতেও হয়েছে। আমরা যদি ৫০, ৬০, ৭০ বছরের ইতিহাসও ঘাটি, ব্রিটিশ আমলে যে নির্বাচন হয়েছে তখন কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে... তবে মাত্রাটা কিছু কম ছিল।

তিনি আরও বলেন, আমরা বর্তমানে যে নির্বাচনটা করতে চাচ্ছি সেটার একটা বিশেষ দিক হচ্ছে অভিযোগ বা বিতর্কের মাত্রাটা অতিরিক্ত। ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের চাপটা এসে আমাদের ওপর পড়েছে। কাজেই আমরা নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছি। তবে এগুলো সত্য হতে পারে। আবার মিথ্যাও হতে পারে, সেদিকে যাচ্ছি না।

সিইসি বলেন, ক্রেডিবল বলে একটা শব্দ আছে। সব দেশের আইনেও আছে এটা। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও বলা হয় নির্বাচন ক্রেডিবল হতে হবে। ক্রেডিবল তখনই হবে যখন আমরা আমাদের দায়িত্ব পালনের মধ্য দিয়ে স্বচ্ছতা আনতে পারি।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন, ডিজিটাল প্রযুক্তির কারণে মিডিয়ার কর্মীরা তাৎক্ষণিক প্রচার করতে পারে। ফ্রি, ফেয়ার একটা কথা বলা হয়। বাজারে যে কথা আছে। আমাদের ওপর, সরকারের ওপর আস্থা নেই। নির্বাচন নিরপেক্ষ হয় না। আমরা এই চ্যালেঞ্জ নিতে চাই, আগামীর নির্বাচন অবাধ এবং নিরপেক্ষ এবং শান্তিপূর্ণ হবে, একইসঙ্গে স্বচ্ছ হবে। স্বচ্ছতাটা আমরা দেখতে চাইবো মিডিয়া এবং পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে।

কর্মশালায় অন্যদের মধ্যে ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম, অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক একেএম হুমায়ুন কবীরসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর